আজ- রবিবার | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৩:৩৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২ মাঘ, ১৪৩১

গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগ :: ইউপি চেয়ারম্যান মিল্টন সিদ্দিকীর গ্রেপ্তার দাবি

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-66
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে জেলার বিভিন্ন সংগঠন।
রোববার(১৯ মার্চ) সকালে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের ব্যানারে শহরের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, জেলা যৌন নির্যাতন নির্মূলকরণ নেটওর্য়াকের সভাপতি অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা শেলি, মানববাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, আরপিডিও’র নির্বাহী পরিচালক রওশন আরা লিলি, নেটওর্য়াকের সদস্য নাজমুস সালেহীন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেয়।

স্মারকলিপি গ্রহন করছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মমতাজ বেগম।
স্মারকলিপি গ্রহন করছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মমতাজ বেগম।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মমতাজ বেগম এবং পুলিশ সুপার মো.মাহবুব আলম পিপিএম স্মারকলিপি গ্রহন করে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
প্রকাশ, গত ১৪ মার্চ(মঙ্গলবার) টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ নিস্পতিতে পক্ষে রায় দেওয়ার কথা বলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে পাঠান। পরে চেয়ারম্যানের সহযোগী মনির সওদাগর ওই গৃহবধূকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে কালিহাতী মিমাংসা হবে এমন কথা বলে উপজেলার এলেঙ্গায় নিয়ে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে ওই গৃহবধূকে কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়। এতে তার রক্তক্ষরণ হলে মনির সওদাগর তাকে মোটরসাইকেলে করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যান। পরে ধর্ষিতার ফোন পেয়ে মা ও স্থানীয়রা তাকে ১৪ মার্চ(মঙ্গলবার) বিকালে অসুস্থাবস্থায় টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়