দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে গ্যাস পাইপ লাইন বিস্ফোরণ হয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় লণ্ডভণ্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিস্ফোরণে আশপাশের কয়েকটি দোকান ও ভবনে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বুধবার(৫ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) ও দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরের মেইন রোডে রাস্তা ও ড্রেনের নির্মাণ কাজ চলছে। ঠিকাদারের অসচেতনার কারণে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেঁটে যায়। এরপর প্রচণ্ড বেগে গ্যাস বেড়িয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকায় গ্যাসের চাপে ভেতরে থাকা পাঁচটি এসি, ১৬টি ফ্যান, ২টি কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল ও আলমারিসহ অধিকাংশ মালামাল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম জানান, রাস্তা ও ড্রেনের উন্নয়ন কাজের সময় ভেকুর(খননযন্ত্র) আঘাতে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন পাইপ ফেঁটে গ্যাস মেইন রোডে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন ভবন ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও ঢুকে পড়ে। গ্যাসের কারণে কার্যালয়ের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ২৫-৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ব্যবহারের উপযোগী করতে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়টি সংস্কার করতে হবে। এ ঘটনার দায় ঠিকাদার কোনভাবেই এড়াতে পারেন না।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ(সওজ) অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন জানান, গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় ঠিকাদারের ত্রুটি আছে কি না তা নতদন্ত করে দেখা হবে। যদি ত্রুটি পাওয়া যায় তাহলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ম্যানেজার প্রকৌশলী খোরশেদ আলম জানান, গ্যাস লাইনের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানীর টীম গিয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাপসকের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
