দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী সন্দেহে মাওলানা রাজিবুর ইসলাম (২৫) ও ইসমাইল হোসেন রাশেদ(২০) নামে দু’সহোদরকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছেন পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান খান। বৃহস্পতিবার(২৩ মার্চ) বিকালে ঘাটাইল পৌরসভা মেয়রের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তারা জামালপুর জেলার পিংনা গ্রামের রফিকুল আহসান তালুকদারের ছেলে।
জানা যায়, মাওলানা রাজিবুল ইসলাম ঢাকার তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার তাফসীরুল কুরআনের ছাত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঘাটাইলের ‘শান্তিমহল’ নামে একটি মহল্লায় ভাড়াবাসায় থেকে গোপনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির তরুন ও যুবকদেরকে ইসলামী ছাত্র শিবিরে নাম লেখানোর জন্য নানা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন।
স্থানীয় ফতেরপাড়া গ্রামের আসাদুল (১৪) ও আব্দুল আলিম (১৮) জানায়, তাদেরকে শিবিরের সদস্য বানানোর জন্য ফরম দিয়েছিল মাওলানা রাজিবুর ইসলাম। কিন্তু তারা সদস্য হতে রাজি হয়নি। এদিকে, জামাত-শিবিরের কর্মকান্ড নিয়ে বুধবার(২২ মার্চ) মাওলানা রাজিবুল ইসলামের সাথে ঘাটাইল থানা মসজিদের মোয়াজ্জিন খলিলুর রহমানের মতবিরোধ হয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ধস্তাদস্তি হয়। বিষয়টি জামালপুরে তাদের বাড়িতে জানানো হয়। ওই ঘটনায় তার ছোট ভাই ইসমাইল হোসেন রাশেদ(২০) ঘাটাইল পৌর সভার মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে নানা প্রশ্ন করেন।
ঘাটাইল পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান খান জানান, ইসমাইল হোসেন নামের ছেলেটি চ্যানেল বৈশাখী নিউজ লেখা সম্বলিত একটি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তাঁর কক্ষে ঢুকে নানাভাবে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানান তিনি। এ সময় বিভিন্নজনের প্রশ্নে অভিযুক্ত দু’সহোদর সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন। ফলে মেয়র তাদেরকে ঘাটাইল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। ইসমাইল হোসেন দৈনিক আজকের জামালপুর ও চ্যানেল বৈশাখী নিউজ- এর সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামাল হোসেন তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।