প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
ঘাটাইল উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন শেষ মুহুর্তে স্থগিত
By দৃষ্টি টিভি on ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ৩:১৬ পূর্বাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন্দ্রের নির্দেশে শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়েছে। প্রায় ১৪ বছর পর আজ রোববার(৪ ডিসেম্বর) এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করে সম্মেলন স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে নানা জনে নানা মত পোষণ করছে। এ নিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে ধুম্রজাল। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কয়েকজন নেতা বলছেন, সাংসদ আমানুর রহমান খান কারাগারে থাকায় ষড়যন্ত্র করে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, সম্মেলন স্থগিত করার কারণ জেলা পরিষদ নির্বাচন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন ২০০২ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে আজমল হোসেনকে সভাপতি ও শহিদুল ইসলামকে (লেবু) সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি শামসুর রহমান খানের সঙ্গে উপজেলা কমিটির বিরোধ শুরু হয়। তখন উপজেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন খানকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়। সেই কমিটি তিন বছরেও সম্মেলন করতে পারেনি। এ জন্য ২০০৮ সালে এ কমিটি ভেঙে শহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়। অন্যদিকে শামসুর রহমানের অনুসারীরা নজরুল ইসলাম খানকে (সামু) আহ্বায়ক করে পাল্টা কমিটি করেন। শহিদুল ইসলাম লেবুর নেতৃত্বাধীন কমিটিকে স্থানীয় সাংসদ মতিউর রহমান এবং নজরুল ইসলাম সামুর নেতৃত্বাধীন কমিটিকে শামসুর রহমান সমর্থন করতেন। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে শামসুর রহমান মারা যান। একই বছর সাংসদ মতিউর রহমানও মারা যান।
পরে শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পান শহিদুল ইসলাম লেবু। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শামসুর রহমানের ভাতিজা জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আমানুর রহমান খান (রানা) বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এ জন্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর অনুসারীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু রানা বিজয়ী হওয়ার পর তাঁদের আবার দলে নেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় নাম এলে ২০১৪ সালে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা আত্মগোপনে চলে যান। তখন উভয় পক্ষের সমন্বয়ে ২০১৪ সালে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এ কমিটিতে আমানুর রহমান খানের সমর্থক নজরুল ইসলাম খান সামুকে আহ্বায়ক ও শহিদুল ইসলামকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়। কিন্তু তাঁরাও সম্মেলন করতে পারেননি। গত ৭ সেপ্টেম্বর এ কমিটি ভেঙে শহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের রোববারের (আজ) সম্মেলন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার(২ ডিসেম্বর) রাতে হঠাৎ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সম্মেলন স্থগিত করতে বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে। তাই সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
মন্তব্য করুন
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম মিয়ার দাফন সম্পন্ন
-
মওলানা ভাসানীর জীবনী পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
-
পাহারা দিয়ে উৎসব আনন্দময় হয়না :: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
-
কালিহাতীতে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা বৈষম্যের শিকার!
-
টাঙ্গাইলে বাস-মিনিবাস মালিকদের আমানতের কুপন ফেরত
-
টাঙ্গাইলে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত
-
জেলা সদর মসজিদ ও ইসলামী পাঠাগার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির পরিচিতি সভা
-
টাঙ্গাইলে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত