আজ- শনিবার | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | রাত ১:৩০
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে আইন মানছেনা জেলা জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ সমিতি!

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-37টাঙ্গাইলে আইন মানছেনা জেলা জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কর্মচারীরা। আদালত প্রাঙ্গণের অর্ধশতাব্দি পুরনো একটি বটগাছ শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) তারা রাতের আঁধারে কেটে ফেলছিল। রোববার(২ অক্টোবর) তা নজরে আসে মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশবাদীদের। বৃদ্ধ গাছটি বিনা অনুমতিতে কাটতে বাধা দিতেই বাধে বিপত্তি। আইনের সহায়তাকী কর্মচারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশবাদী ও সাংবাদিকরা। পরে ওই গাছ কাটা বন্ধ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংক্ষুব্ধরা। পরে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেনের জরুরি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নদী, খাল, জলাশয় উদ্ধার এবং বন ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের মহাসচিব রতন আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, স্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের কোন এক সময় জেলা জজশীপ ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির অসাধু কর্মচারীরা আদালত প্রাঙ্গণের প্রবেশ মুখে বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থান করা অর্ধশত বছরের পুরনো বটগাছটি কেটে ফেলে।

dristy-38পরদিন (শনিবার) সকালে গাছটি খন্ডাকারে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে আমাদের চোখে পড়ে। এত বছরের পুরনো গাছটি কার অনুমোতিতে এবং কেন কেটে নেয়া হচ্ছে আর কি-ই বা করা হবে- জানতে চাইলে সংগঠনের কতিপয় ব্যক্তি বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে গাছটি কাটা হচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে তারা মানবাধিকার কর্মী ও পরিবেশবাদীদের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে। এছাড়াও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিতে থাকে। দুর্বৃত্তদের দ্বারা লাঞ্ছণার শিকার হন রতন আহমেদ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক আরিফুর রহমানসহ কয়েকজন।dristy-39ঘটনার খবর পেয়ে ওই স্থানে উপস্থিত হন টাঙ্গাইল সদর আসনের সাংসদ মো. ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন। তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুনাথ পাল বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাছে কোন ধরণের অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাছাড়া গাছ কাটার ক্ষেত্রে আমারা কোন ধরণের অনুমতি দিতেও পারিনা।
পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ বলেন, এভাবে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুরনো গাছ প্রকাশ্যে কেটে নেওয়াটা অনৈতিক। এটা কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কোন ধরণের অনুমতি ছাড়া সরকারি জায়গা থেকে গাছ বা অন্য কোন স্থাপনা সড়িয়ে নেয়া ও নতুন স্থাপনা তৈরি করা সম্পূর্ণ বেআইনী।
সাংসদ মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, একদিকে তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে গাছ কেটে অন্যায় করেছে তার উপর মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়