প্রথম পাতা / টপ সংবাদ /
টাঙ্গাইলে আমন ধান কাটার ধুম ॥ দাম কমে হতাশ চাষী
By দৃষ্টি টিভি on ২৪ নভেম্বর, ২০১৬ ৩:১৩ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলে এখন আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। মাঠে-ময়দানের তাপদাহ কিংবা মিষ্টি শীতে চাষীরা ক্ষেত থেকে পাকা ধান সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কিন্তু বাজারে ধানের দাম কম থাকায় ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ চাষীরা।
সরেজমিনে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার সাবালিয়া, আউলটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ ধান ক্ষেত। সেখানকার চাষীরা ধান কেটে ঘরে তুলছেন। অনেকেই আবার ধান কেটেও ফেলেছেন। আবার অনেকে ধান কাটা শুরুও করেনটি। তবে এবার অনেকের ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, জেলায় এ বছর আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ১৮৬ হাজার হেক্টর । অর্জিত হয় ৯১ হাজার ৭৫০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত ২০ ভাগ ধান কর্তন করা হয়েছে। ৮০ ভাগ ধান কর্তন করার বাকি রয়েছে।
সূত্রমতে, জেলায় এবার আলই-হালাই, বিন্নি, কালিজিরা, নাইজার শাইল, বাশিরাজ, তুলসিমালা, স্বর্ণালতা, গাইনঞ্জা, পাজাম, পাটজাগ, আফছায়া, লতিশাইল, ঢেপা, হরি, জামাইআদুরী, কমককামানী, লালশাইল, ক্ষিরস্যাপাত, চিনিগুড়া, রাজভোগ, হাসফুল, চাপালী, হাইব্রিড ধানী, অ্যাগ্রোবান, এসএসএইচ, বিআর-১১, বিনা-৭, ১১, ১২, বিআর-১০, ১১,২২,২৩, ব্রিধান ২৯, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৬, ৪৯, ৫১, ৫২, ৫৬, ৫৭, ৬২, বিইউ-১ স্বর্ণা, পাইজাম, হরিধান, মাধমী জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানায়, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি, শুধু ধানের দাম কম। এবার পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ায় লোকসান হবে। তবে সব মিলিয়ে যখন ধান কেটে ঘরে তোলা হয়, তখন এক উৎসবের আমেজ দেখা যায়। তখন তাদের সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়।
আউলটিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক জানান, তিনি এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। তার ধান কাটা শেষ। সব মিলিয়ে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ধানের দাম কম ও পানিতে কিছু ধান তলিয়ে যাওয়ায় লোকসান হবে। বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি, শুধু ধানের দাম কম। তবে সব মিলিয়ে টাঙ্গাইলের কৃষকদের ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসব চলছে।
তিনি জানান, সরকার যদি ধানের দাম বাড়াতো তা হলে কৃষকরা আরো লাভবান হতো। তাই সরকারের কাছে আবেদন ধানের দাম বৃদ্ধি করা হোক। এখন আগের মতো ধান কাটার আনন্দ নেই। ধানের চেয়ে শাকসবজি চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
সিরাজগঞ্জ থেকে আসা ৬ সদস্যের একদল ধান কাটার শ্রমিক সর্দার আব্বাস আলী জানান, তারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধান কাটেন। তবে টাঙ্গাইলে বেশি ধান কাটেন। ধান কেটে তারা লাভবান হন। প্রতিদিন তারা মাথাপিছু তিন বেলা খাবার সহ ৩০০ টাকা পান। তাদের ছেলে-মেয়ের লেখা পড়ার খরচসহ সংসারের যাবতীয় খরচও এর উপর নির্ভরশীল।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাসিম জানান, গেল বন্যায় ধানের ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়েছে। জেলায় মাঠ পর্যায়ে ৩৫৬ জন কৃষি কর্মকর্তা কাজ করছেন। তারা বিভিন্নভাবে কৃষকদের পরার্মশ দিচ্ছেন। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এবার ধানের কোন তি হয়নি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
নাগরপুর চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
-
ঘাটাইলে বন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
-
টাঙ্গাইল চেম্বারের প্রেসিডেন্ট বেনজীর আহমেদ টিটো
-
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম
-
মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
-
সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসির যেসব ক্ষমতা থাকছে
-
এলেঙ্গায় চাঁদাদাবি করায় বিএনপির চার নেতাকর্মী আটকের পর মুচলেকায় মুক্ত
-
টাঙ্গাইলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ