প্রথম পাতা / অর্থনীতি /
টাঙ্গাইলে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ হয়নি ॥ বেশিরভাগ পণ্যের দাম কমেছে
By দৃষ্টি টিভি on ৪ আগস্ট, ২০২৩ ৭:২৪ অপরাহ্ন / no comments
দৃষ্টি নিউজ:
![](https://dristy.tv/wp-content/uploads/dristy-31-14.jpg)
টাঙ্গাইলের বাজারগুলোতে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ হয়নি। এক সপ্তার ব্যবধানে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কমেছে। ১ আগস্ট থেকে বাজারে খোলা তেল বিক্রি সরকারিভাবে বন্ধ করা হলেও জেলা সদরের বাজারগুলো দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে প্রায় প্রতিটি কাঁচা মালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা ও মশলার দাম কেজিতে ১০০-২০০ টাকা করে কমেছে। কিন্তু চাল ও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল শহরের পার্কবাজার, ছয়আনী বাজার, বটতলা সিটি মার্কেট, আমিন বাজার, বৈল্যা বাজার, সাবালিয়া বাজার, সাবালিয়া বটতলা বাজার, বাসস্ট্যান্ড বাজার ইত্যাদি বাজার ঘুরে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় সব বাজারেই খোলা সয়াবিন তেল পাইকারী প্রতিকেজি ১৭০ টাকা ও খুচরা ১৮০-১৮৪ টাকায়, সুপারঅয়েল পাইকারী প্রতিকেজি ১৪০-১৪২ টাকা ও খুচরা ১৪৫-১৪৮ টাকা, পামঅয়েল পাইকারী প্রতি কেজি ১৩৫-১৩৮ টাকা ও খুচরা ১৪০-১৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাইকারী ১৭০-১৭২ টাকা ও খুচরা ১৭৬-১৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, স্টক থাকা পর্যন্তই তারা খোলা তেল বিক্রি করবেন।
বাজারগুলোতে এক সপ্তার ব্যবধানে ২-১ টাকা করে কমে ব্রি-২৯ চাল প্রতিকেজি পাইকারী ৫০-৫২ টাকা ও খুচরা ৫৪-৫৫ টাকা, নাজির পাইকারী প্রতিকেজি ৭৫-৭৭ টাকা ও খুচরা ৮০-৮৪ টাকা, মিনিকেট পাইকারী প্রতিকেজি ৬৫-৬৬ টাকা ও খুচরা ৭০-৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মশলার মধ্যে জিরা প্রতিকেজি পাইকারী গত সপ্তায় ১১৮০-১২০০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তায় কেজিতে ১০০ টাকা কমে পাইকারী ১০৮০ টাকা ও খুচরা ১১৫০-১১৬০ টাকা, এলাচ ২০০ টাকা কমে ১৮০০-২০০০ টাকা পাইকারী ও খুচরা প্রতিকেজি ২২০০-২৪০০ টাকা, দারুচিনি ৫০ টাকা কমে পাইকারী ৪২৯-৪৩০ টাকা ও খুচরা প্রতিকেজি ৪৬০-৪৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি রসুন পাইকারী প্রতিকেজি ২১০-২১২ টাকা ও খুচরা ২৩০-২৪০ টাকা, হাইব্রিড রসুন প্রতিকেজি পাইকারী ১৮০-১৮২ টাকা ও খুচরা ২০০-২১০ টাকা, আদা প্রতিকেজি পাইকারী ১৪০-১৪২ টাকা ও খুচরা ১৬০-১৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তার ব্যবধানে সবজি পাইকারী ও খুচরা বাজারে ২-৩ টাকা করে কমে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি পাইকারী ৫৬-৫৮ টাকা ও খুচরা ৬০-৬৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতিকেজি পাইকারী ৩৫-৩৬ টাকা ও খুচরা প্রতিকেজি ৪০-৪৫ টাকা, দেশি গোলআলু প্রতিকেজি পাইকারী ৪৪-৪৫ টাকা ও খুচরা ৫০-৫৫ টাকা, হাইব্রিড আলু পাইকারী প্রতিকেজি ৩৫-৩৬ টাকা ও খুচরা ৪০-৪৫ টাকা, পটল প্রতিকেজি পাইকারী ১৭-১৮ টাকা ও খুচরা ২৫-৩০ টাকা, চিচিঙ্গাঁ প্রতিকেজি পাইকারী ২৫-৩০ টাকা ও খুচরা ৪০-৪৫ টাকা, ঢেড়শ প্রতিকেজি পাইকারী ৩০-৩৫ টাকা ও খুচরা ৪০-৪৫ টাকা, করলা প্রতিকেজি পাইকারী ৫০-৫২ টাকা ও খুচরা ৬০-৭০ টাকা, বেগুন(গোল) প্রতিকেজি পাইকারী ৪০-৪২ টাকা ও খুচরা ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন(লম্বা) প্রতিকেজি পাইকারী ২০-২২ টাকা ও খুচরা ৩০-৩৫ টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি পাইকারী ২০-২২ টাকা ও খুচরা ২৫-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মাঝারি সাইজের একটি লাউ পাইকারী ২০-২৫ টাকা ও খুচরা ৪০-৪৫ টাকা, মাঝারি সাইজের কুমড়া পাইকারী ২৫-৩০ টাকা ও খুচরা ৩০-৩৫ টাকা, মাঝারি সাইজের কাঁচকলা প্রতিহালি পাইকারী ১৫-১৬ টাকা ও খুচরা ২০-২২ টাকা, দেশি শশা প্রতিকেজি পাইকারী ৪০-৪৫ টাকা ও খুচরা ৫৫-৬০ টাকা. হাইব্রিড শশা প্রতিকেজি পাইকারী ২০-২৫ টাকা ও খুচরা ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি পাইকারী ১২০-১৩০ টাকা ও খুচরা ১৬০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ প্রতিকেজি পাইকারী ৪৪০-৪৬০ টাকা ও খুচরা ৫০০-৫৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারের ক্রেতা শামসুল আলম, খায়রুল ইসলাম, সুস্মিতা রানী পাল, কমলা রানী সাহা, আজিজল মিয়া, রাশেদ রহমান, আমজাদ হোসেন, নজিবুল হোসেন সহ অনেকেই জানান, একই পণ্যের মূল্য বাজারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়। গত কয়েক সপ্তাহে দ্রব্যমূল্য অত্যধিক থাকায় প্রায় প্রতিটি পণ্যই প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনেছেন। এ সপ্তায় বাজার স্থিতিশীল ও কোন কোন পণ্যের দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে বাজার করতে পারছেন।
বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতা আশরাফ মিয়া, বুজরত আলী, মিয়া চাঁন, পরেশ বণিক, স্বপন বণিক, হারাধন কর্মকার, রহিজ উদ্দিন সহ অনেকেই জানান, পাইকারদের কাছ থেকে যেদামে কেনা হয় তার চেয়ে ২-৪ টাকা বাড়িয়ে তারা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন। গত সপ্তার শুক্রবারের চেয়ে এ সপ্তায় প্রায় সব পণ্যের দামই ৩-৪ টাকা কমে বিক্রি করা যাচ্ছে। দাম কমলে আরও কমে বিক্রি করা যাবে।
টাঙ্গাইলের সবচেয়ে বড় পাইকারী পণ্যের বেচাকেনা হওয়া পার্ক বাজারের পাইকার বোরহান আকন্দ, শোভা মিয়া, হাবেল আকন্দ, বাবু মিয়া, ইসমাইল হোসেন সহ অনেকেই জানান, মোকামে পণ্যের দাম কম হওয়ায় এখানেও কিছুটা কমেছে। সরকার নিষিদ্ধ করলেও স্টক থাকায় তারা খোলা তেল বিক্রি করছেন। স্টক শেষ হলে আর খোলা তেল বিক্রি করবেন না।
টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর ইসলাম জানান, তারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে থাকেন। তবে লোকবল কম থাকায় পুরোপুরি তদারকিতে সমস্যা হয়। সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
ব্যবসায়ীদের কেনা-বেঁচার রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ করতে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
সর্বশেষ আপডেট
-
ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেনের সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা
-
টাঙ্গাইলে কারফিউ ১২ ঘণ্টা শিথিল ॥ জনজীবনে স্বস্তির বাতাস
-
অহিংস আন্দোলনে ভর করে সহিংসতা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত :: জয়
-
সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদ আর নেই
-
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ১২ ঘণ্টায় ৭ হাজার ২৭৭ গাড়ি পারাপার
-
টাঙ্গাইলে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ॥ টিআর সেল নিক্ষেপ- আহত অন্তত ৩০
-
আদালতে স্বীকারোক্তি :: চাকুরি দিতে না পেরে ৩ যুবককে হত্যা করেন কনক!
-
টাঙ্গাইলে জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ
-
কোটা আন্দোলন :: বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট ॥ গায়েবানা জানাজা
আপডেট পেতে লাইক করুন
![](https://dristy.tv/wp-content/uploads/ptt-300x250.gif)