আজ- বুধবার | ২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৫:৪৮
২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১
২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে গাছে গাছে আমের মুকুল ॥ বাম্পার ফলনের আশা

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-d-13টাঙ্গাইলের গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল। চারদিকের বাতাসে ভাসছে মুকুলের পাগল করা সুগন্ধ। সুখের ঘ্রাণ বইয়ে বাতাসও যেন আনন্দিত। শহর থেকে গ্রাম-গঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন টাঙ্গাইলের আম ব্যবসায়ীরা।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলে আম্রপালি, লেংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বাড়ি ১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৫ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়। উৎপাদন হয় ৫৩ হাজার ৭১৭ মে.টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে।
আম ব্যবসায়ী শিমুল, জব্বার, রহিম, কায়েস, জহির জানায়, এবছর তাদের আম গাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল ধরেছে। এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোন রোগ-বালাই আক্রমন করেনি। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতিটি গাছেই পর্যাপ্ত পরিমাণে আম ধরবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাশিম জানান, জেলায় এ বছর আমের উৎপাদন ভালো হবে। কারণ এ বছর আমের মুকুল ধরার সময় প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ হয়নি। এমনকি তেমন কোন রোগবালাইও হয়নি। যদি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হয় তাহলে কৃষকরা বাম্পার ফলন পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, আম চাষে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। অনেক বেকার যুবক এ পেশায় এগিয়ে আসছেন। টাঙ্গাইলে পাহাড়ি ও আবাদি জমিতে আমের চাষ করা হয়ে থাকে। টাঙ্গাইলে হর্টিকালচারে আমের চারা উৎপাদন করা হয়। আমরা আম চাষে কৃষকদের বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিচ্ছি। এ ব্যাপারে কৃষকদের ট্রেনিংও দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়