দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নের সুবর্ণতলী গ্রামে জুসে বিষ মিশিয়ে বৃদ্ধ আব্দুল করিম হত্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
মামলার বাদী নিহতের মেয়ে ফিরোজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মামলার প্রধান আসামী মমতা বেগম(২৪) জেল-হাজতে রয়েছে। কিন্তু তার মামা দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন গ্রামের করিম এবং মামলার এজাহারভুক্ত অন্য ৩ আসামী মামলাটি তুলে নিতে বাদীর ০১৭১৪৬৪৩০০৪ নম্বর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তারা বিভিন্ন নম্বর থেকে কল দিয়ে মামলাটি তুলে নিতে বলে, অন্যথায় তাকেও মেরে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকি দেয়। বাদী অভিযোগে আরো জানান, মামলার অন্য আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ গ্রেপ্তার করছেনা। অথচ আমার বাবাকে অজ্ঞাত বিষ প্রয়োগে খুন করা হয়েছে বলে মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, মমতা বেগমের স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে সে বিভিন্ন লেঅকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তার পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর(বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে আব্দুল করিমের নাতবউ মমতা বেগম সবাইকে জুস খাইয়ে দেন। এরপরই ওই পরিবারের তিন সদস্য আব্দুল করিম সরকার ওরফে কাণ্ঠু সরকার, করিমের স্ত্রী মালতি বেগম ও পুত্রবধূ শাহিদা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে আব্দুল করিম সরকার ২৭ নভেম্বর(রোববার) ভোরে মারা যান।
এ ঘটনায় আব্দুল করিম সরকারের মেয়ে ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে মমতা বেগম, তার বাবা আব্দুল্লাহ, মা খাদেজা বেগম, ভাই আতিক ও শহিদুলকে অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় ঘটনার ৯ দিন পর ৭ ডিসেম্বর হত্যা মামলা(নং-১৫, তাং-০৭/১২/২০১৬ইং) দায়ের করেন।
মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদিক জানান, মামলার প্রধান আসামী মমতা বেগমকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মেডিকেল রিপোর্ট এখনও তিনি হাতে পাননি। সেজন্য অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছেনা। তাছাড়া প্রাথমিক তদন্তে অন্য অভিযুক্তদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে মামলাটির তদন্ত এগিয়ে নেয়া যাবে।