আজ- মঙ্গলবার | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
৩০ পৌষ, ১৪৩১ | রাত ২:২৩
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
৩০ পৌষ, ১৪৩১
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে পাক হানাদারমুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে কাদের সিদ্দিকী নেই!

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-43
টাঙ্গাইলে ১১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজয় দিবসের ছয়দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বিগত ১৯৯০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কাদেরিয়া বাহিনী ‘টাঙ্গাইল পাক হানাদারমুক্ত দিবস’ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিল। এরপর থেকে টাঙ্গাইল পৌরসভার আয়োজনে হানাদারমুক্ত দিবস ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান গতানুগতিকভাবে পালন হয়ে আসছে। এবার ব্যাপক ঘটা করে এ অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। আমন্ত্রণ কার্ডও ছাপানো হয়েছে, তবে সেই আমন্ত্রণ কার্ডে নাম নেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের! এ নিয়ে শহরে মুখরোচক আলোচনাও হচ্ছে জোরেশোরে।
জানাগেছে, ১৯৯০ সালে টাঙ্গাইল পাক হানাদারমুক্ত দিবস প্রথম পালন করে সপ্তসুর সাংস্কৃতিক সংস্থা। পরে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে দিবসটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হতে থাকে। প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০১২ সালে কাদেরিয়া বাহিনী শেষ অনুষ্ঠান করে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ওই বছর কাদের সিদ্দিকী ঘোষণা দেন কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে টাঙ্গাইলে আর পাক হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হবে না। এরপরের বছর থেকে টাঙ্গাইল পৌরসভার উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে। এতদিন শহীদ মিনারে সীমিত আকারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও এবারই শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা হয়। ছয়দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী-এমপি, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতশিল্পীসহ বরেণ্য ব্যক্তিদের নাম আমন্ত্রণ পত্রে রয়েছে। শুধু নাম নেই কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান কাদের সিদ্দিকীর!
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর কাদেরিয়া বাহিনীর নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় টাঙ্গাইল শহর। টাঙ্গাইলের মানুষ মুক্তির আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠে। চারদিক প্রকম্পিত হয় জয় বাংলা স্লোগানে। কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান কাদের সিদ্দিকীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে সবকিছু। কাদেরিয়া বাহিনীর যোদ্ধারা জামালপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেন এবং ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ বলেন, কাদের সিদ্দিকী মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। কাদের সিদ্দিকী নিজেই আর টাঙ্গাইল পাক হানাদারমুক্ত দিবস পালন করবেন না বলে ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই পৌরসভার উদ্যোগে টাঙ্গাইল মুক্ত দিবস উদযাপন করছি। তবে সবাইকে নিয়ে একসাথে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে। আমন্ত্রণপত্রে তার নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি কার্ড করিনি। আমি শুধু আয়োজকের কাজ করছি।
এ বিষয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়