দৃষ্টি নিউজ:
দীর্ঘ সাড়ে নয় ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ায় ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে বুধবার(৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনের ১৫০ গজ উত্তরে পাথাইলকান্দি বাজারের কাছে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন সহ তিনটি বগি লাইনচ্যূত হয়। ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের সকল ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে সিরাজগঞ্জ, ঈশ্বরদীসহ উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা বেশ কয়েকটি ট্রেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার(৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার পর ঢাকা ও ময়মনসিংহ থেকে দু’টি উদ্ধারকারী(রিলিফ) ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইঞ্জিনসহ তিনটি লাইনচ্যূত বগি উদ্ধার করে সরিয়ে নিলে সাড়ে নয় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সিগন্যাল ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির ব্যবস্থাপনাকে চিহ্নত করে অধিকতর তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিম) মহাব্যবস্থাপক খায়রুল আলম জানান, এই রেললাইনটি দিয়ে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দুই ধরণের ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। এদিকে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি মিটারগেজ হলেও ওই সময় তার চলাচলের জন্য ব্রডগেজ লাইন চালু ছিল। এ কারণে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব প্রান্তে ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশনের উত্তরে পাথাইলকান্দি বাজারের কাছে কাটা পয়েণ্টে এসে ট্রেনটি লাইনচূত হয়। তিনি আরো জানান, সঠিক কারণ জানতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।