দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ‘তথ্য ডিলিটের’ অভিযোগ এনে আইনি সহায়তা চেয়ে সদর থানায় লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিতালী খন্দকার লিখিত অভিযোগটি দাখিল করেছেন। অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তসলিমা জাহান, সহকারী শিক্ষক আজফা খন্দকার টুসি, আফরোজা আক্তার, খালেদা খান, লায়লা সিদ্দিকী, আয়েশা আক্তার ও রোকসানার নাম রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় সহকারী শিক্ষক হাফিজাকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তসলিমা জাহান তার কক্ষে ডেকে পাঠান। এ সময় ৪০-৪৫ মিনিট প্রধান শিক্ষক তার সঙ্গে বিদ্যালয়ের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। প্রতিদিনের ন্যায় ওই দিনও তার মোবাইল ফোনসহ হ্যান্ডব্যাগ শিক্ষকদের কমন রুমে রাখা ছিল। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তাঁর সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে অন্য সহকারী শিক্ষকরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সহকারী শিক্ষক হাফিজার মোবাইল ফোনের সব ছবি ও ভিডিও ‘ডিলিট’ করে ফেলেন।
তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে থাকাকালে উল্লেখিত সহকারী শিক্ষকরা মোবাইল ফোনে থাকা গত ৬ আগস্ট গোপনে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কক্ষে ‘কোচিং সেন্টারের আট শিক্ষার্থীকে দিয়ে মে মাসে শেষ হওয়া প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া’ ভিডিও ও বিদ্যালয়ের বেশ কিছু অপকর্মের তথ্য ও ছবি এবং তার ব্যক্তিগত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ‘ডিলিট’(মুছে) করেছেন। মোবাইলে সংরক্ষিত তার মৃত ছেলের স্মৃতিজড়ানো একমাত্র ছবিটিও তারা রাখেনি।
তাৎক্ষণিকভাবে তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানান এবং প্রতিকার দাবি করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিজেই ওই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকায় কোন ব্যবস্থা নেননি। বাধ্য হয়ে তিনি সাত সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
টাঙ্গাইল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আমিনুল ইসলাম খান জানান, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সাত সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেওয়া সহকারী শিক্ষক মিতালী খন্দকারের লিখিত অভিযোগটির তদন্তভার তাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন।