আজ- শুক্রবার | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৪ মাঘ, ১৪৩১ | সকাল ৭:৩৪
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৪ মাঘ, ১৪৩১
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

টাঙ্গাইলে সীমানা জটিলতায় ১৫ ইউপির নির্বাচন বন্ধ

দৃষ্টি নিউজ:

dr-up--1
টাঙ্গাইলের পাঁচটি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হলেও সেখানে নির্বাচন হচ্ছে না। আগের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। সীমানা পুনর্র্নিধারণ করে এসব ইউপিতে নির্বাচন করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
ইউনিয়নগুলো হচ্ছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি, কাকুয়া, মাহমুদ নগর ও সিলিমপুর; কালিহাতী উপজেলার বাংড়া, বীরবাসিন্দা ও পারখী; ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া, সাগরদিঘী, রসুলপুর, লীন্দর, সন্ধানপুর ও সংগ্রামপুর; বাসাইল উপজেলার বাসাইল সদর এবং নাগরপুর উপজেলার ভারড়া। এর মধ্যে বাংড়া ইউপির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১১ সালের মে মাসে। বাকি ১১টি ইউপির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের মে মাসে। এ ছাড়া রয়েছে তিনটি নতুন ইউনিয়ন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের মে মাসে ঘাটাইলের ধলাপাড়া ইউনিয়ন ভাগ করে সাগরদিঘী ইউনিয়ন গঠন করা হয়। মোতাজুড়ি গ্রামটি ধলাপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই গ্রাম থেকে ধলাপাড়ার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। আর সাগরদিঘীর দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। গত বছরের শুরুতে ওই গ্রামটি নবগঠিত সাগরদিঘী ইউনিয়নে যুক্ত করার জন্য নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করেন মোতাজুড়ি গ্রামের কোরবান আলী। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় পরে তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করেন। আদালত সীমানা পুনর্র্নিধারণ করে নির্বাচন করার নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল পৌর এলাকার অলোয়া মৌজার অনেক ভোটারকে সদর উপজেলার ছিলিমপুর ইউনিয়নের ভোটার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই ইউপির চেয়ারম্যান হাসমত আলী। গত বছরের শুরুতে তিনি এলাকা নির্ধারণ করে ভোটার ভাগ করার জন্য উচ্চ আদালতে মামলা করেন। এ ছাড়া ওই মামলায় সুবর্ণতলী চরে আশ্রয় নেওয়া নদীভাঙন কবলিত ব্যক্তিদের এ ইউনিয়নে ভোটার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। আদালত এলাকা নির্ধারণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন এবং ওই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর নির্বাচনের নির্দেশ দেন। তবে সীমানা নির্ধারণের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার কাতুলি ও কাকুয়া ইউনিয়নে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনের কারণে সীমানা পুনর্র্নিধারণ করা সম্পন্ন না হওয়ায় নির্বাচন করা যাচ্ছে না। এ উপজেলার মাহমুদনগর ও সিলিমপুর ইউনিয়নেও সীমানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে।
বাসাইল উপজেলার বাসাইল সদর ইউনিয়নের ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে বাসাইল পৌরসভা গঠিত হয়েছে। বাকি তিনটি (৭ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড) ওয়ার্ড নিয়ে বাসাইল ইউনিয়ন এখনো রয়েছে। এ ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নে সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু উচ্চ আদালতের রুলের কারণে সীমানা নির্ধারণের ওই গেজেট প্রকাশিত না হওয়ায় সেখানে নির্বাচন করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া অন্য ইউনিয়নগুলোয় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মামলা থাকায় সেখানেও নির্বাচন বন্ধ রয়েছে।
সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযান (সুপ্র) টাঙ্গাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু রানী প্রামাণিক বলেন, যেসব ইউপিতে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে, তার বেশির ভাগই দেখা গেছে আইনের মারপ্যাঁচের কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। আর নেপথ্যে থেকে নির্বাচন না হওয়ার জন্য জটিলতা তৈরি করছেন আগের পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, সীমানা নির্ধারণসহ যেসব জটিলতা রয়েছে, তা শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা যাবে। দ্রুত এসব ইউপিতে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কিছু ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলে দ্রুত সেখানে নির্বাচন করা যাবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়