আজ- মঙ্গলবার | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
৩০ পৌষ, ১৪৩১ | রাত ২:৩৩
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
৩০ পৌষ, ১৪৩১
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝুঁকি!

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-fo-68
টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটারের অবস্থা নাজুক। এ ছাড়া এ মহাসড়কের ১০টি বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারী লাখো মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে, পোহাতে হচ্ছে মারাত্নক দুর্ভোগ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল থেকে নাগরপুর হয়ে আরিচা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৬৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪০ কিলোমিটার পড়েছে টাঙ্গাইলে। এ সড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন এলাকা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার অংশ মোটামুটি ভালো। এরপর এলাসিন এলাকার ধলেশ্বরী নদীর ওপর শামসুল হক সেতুর পর থেকে নাগরপুর উপজেলা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নাগরপুরের ধুবুরিয়া ও ভাদ্রা ইউনিয়নে সড়কটির কোথাও কোথাও পিচ নেই। রয়েছে ছোট-বড় বহু গর্ত।
আঞ্চলিক মহাসড়ক হলেও ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে অনেক যাত্রীবাহী ও মালবাহী যান বিকল্প হিসেবে এ সড়ক ব্যবহার করে। নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা যেতে-আসতে নিয়মিত এ সড়ক ব্যবহার করে।
নাগরপুরের ধুবুরিয়া থেকে ৫৫টি বাস নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে ঢাকায় চলাচল করে। বাস শ্রমিক লেবু মিয়া বলেন, খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়। সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন এলাকায় সেতু পার হওয়ার পর থেকেই রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। কোনো কোনো এলাকায় বিটুমিন উঠে গেছে।
এদিকে, নাগরপুর থেকে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর পর্যন্ত ১০টি বেইলি সেতু খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। পুরোনো ও স্টিলের পাটাতনে জোড়াতলি দেয়া। সওজ বিভাগের পক্ষ থেকে সেতুগুলোর সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ এবং সাবধানে চলাচলের নির্দেশনা-সংবলিত সাইনবোর্ড দেয়া হয়েছে।
করিম মিয়া নামে একজন ট্রাকচালক বলেন, এসব সেতুতে ট্রাক নিয়ে উঠলে তাঁর খুবই ভয় লাগে। কখন ভেঙে নিচে পড়ে যায়, বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি আরও বলেন, প্রায় সময়ই সেতুর স্টিলের পাটাতন ভেঙে চাকা আটকে যায়।
নাগরপুর বণিক সমিতির সভাপতি কালাচাঁদ পোদ্দার বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় ট্রাকভাড়া বেড়ে গেছে। এ কারণে ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহন ব্যয়ও বেশি হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর।
নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদরত আলী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরা হয়েছে।
সওজ বিভাগের টাঙ্গাইল কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল হাকিম বলেন, রাস্তাটি উন্নয়নের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়