আজ- শনিবার | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | রাত ১২:০৭
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

টাঙ্গাইল ইউএনও অফিস ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনসেবার মডেল!

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-5টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে নাগরিক সেবার এক ‘মডেল’ এ রূপন্তিরিত হয়েছে। ইউএনও জিনাত জাহানের প্রচেষ্টায় নাগরিক সমস্যা সমাধান ও সেবা গ্রহীতাদের জন্য নেয়া হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যতিক্রম উদ্যোগ।
একটা সময় বিভিন্ন ভাতাসহ নানা কাজে মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরতে হতো। এখন অল্প সময়ের মধ্যেই গ্রাহক সেবা পাচ্ছে। ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে উপজলার অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাজকর্মও ‘এক সুতোয়’ মনিটরিং করা হচ্ছে।
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সেবা পেতে গ্রাহকদের এখন কোনো হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। এতে অনেকটাই নিরসন হয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতি। এই পদ্ধতি  সারাদশের মডেল হতে পারে, দাবি করেন ইউএনও জিনাত জাহান।
উপকার ভোগীদের দাবি, সারাদেশে বিভিন্ন অফিসে মানুষকে সেবা নিতে যখন হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার আর ঠিক সেই মুহূর্তে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ভুক্তভোগীদের ব্যতিক্রমী সেবা দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন- যা দেশের প্রশাসনিক কাজের জন্য একটি ‘মডেল’ হয়ে ওঠেছে।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসা কয়েকজন উপকারভোগী জানান, প্রত্যেক সেবাগ্রহীতা অফিসে এসেই হেল্প ডেস্কের সহযোগিতায় পৌঁছে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট কক্ষের কর্মকর্তার কাছে। সেবাগ্রহণকারীরা কয়েক মিনিটেই কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছেন নিজ কর্মে বা বাড়িতে। নাগরিকের সকল সমস্যা সমাধানের সেবা জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য স্থানীয় উদ্ভাবক সকল উপজেলা কর্মকর্তাদের নিয়ে একযোগে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত জাহান।
এ সময় রফিক, কেরামত ও সফি, হাসনাত, রাশেদ নামে কয়েক ব্যক্তি জানান, উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গণশুনানি করে জনগণের সেবা দেয়ায় এখন পাল্টে গেছে উপজেলা কার্যালয়ের কাজকর্মের চালচিত্র। ইউএনও অফিসের ডিজিটাল সেন্টার থেকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গনশুনানি করে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত জাহান। প্রতিটি ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে রোধকল্পে চলছে সভা-সেমিনার ও উঠান বৈঠক।
ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে প্রত্যেক কক্ষের নজরদারি করাসহ বিভিন্ন কক্ষ জনগণের সেবামুখী করে সাজানো হয়েছে। এছাড়া পুরাতন ফাইল খুঁজতে গেলেও আর কাউকে হয়রানির শিকার হতে হবে না বলে জানান তারা। এর ফলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়মও বন্ধ হয়ে গেছে। কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট অভিযোগ এলে তার বিরুদ্ধেও নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ জনগণ সহজেই সেবা গ্রহণ করতে পারছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ব্যতিক্রমী সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত জাহান বলেন, নাগরিক সমস্যা সমাধান ও সেবা জনগণের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে স্থানীয়ভাবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বাল্যবিয়ে রোধকল্পে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শুধু তাই নয়, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছি। এখানে রেকর্ড রুম ছিল না- তা আমরা তৈরি করেছি। যা থেকে জনগণ যেকোনো সময় খুব সহজে তার তথ্য নিতে পারবে। সিটিজেন চার্টার তৈরি করেছি যা দিয়ে জনগণ জানতে পারবে তারা এখানে কি কি সেবা পাবে?
জনগণের হাতের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার মনোভাব কিভাবে জাগলো এমন প্রশ্নে তিনি বললেন, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে যখন ভাবি তখনই মানুষের জন্য ভাল কিছু করার চিন্তা আসে। সেই থেকেই এ ধরনের কাজের প্রেরণা।
ডিজিটাল পদ্ধতির সহজ উপায়ে উপজেলার নাগরিক সমস্যা সমাধান সারাদেশে জনগণের সমস্যার সমাধান করা হলে কমে যাবে মানুষের দুর্ভোগ। উপজেলাগুলো সেবামুখী হবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়