দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের সোলপার্কে পড়ে থাকা সেই অজ্ঞাত মেয়েটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার(৫ মার্চ) রাতে মারাগেছে। মেয়েটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে বলে মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ।
জানাগেছে, রোববার(৫ মার্চ) দুপুরে শহরের ঘারিন্দা সোলপার্কে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন ওই অজ্ঞাত মেয়েটিকে(২০) এক রিকশাভ্যানে ওঠিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। ভ্যান চালক রফিক মিয়া অচেতন মেয়েটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে কর্মচারিদের সহায়তায় একটি ট্রলিতে উঠিয়ে দিয়ে চলে আসেন। বিষয়টি সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মো. খোরশেদ আলমের নজরে এলে তাঁর তৎপরতায় মেয়েটিকে ভর্তি করে ৫ নং ওয়ার্ডে দোতলায় পাঠিয়ে দেয়।
[vsw id=”ay0SJ9V1-Mo” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”no”]
মানবাধিকার কর্মী মো. খোরশেদ আলম জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার সময় মেয়েটির মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। মেয়েটি অন্ত:যন্ত্রণায় গোঙ্গাচ্ছিল। ওয়ার্ডে নেয়ার পর কোন ডাক্তার বা নার্স তার কাছে যায়নি। তিনি অনুরোধ করার পর চিকিৎসক আসছেন বলে জানানো হলেও মেয়েটিকে ফোরে ফেলে রাখা হয়। এ সময় কর্তব্যরত নার্স বরই খাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন বলে খোরশেদ আলম অভিযোগ করেন। পরে মেয়েটি এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। অজ্ঞাত পরিচয় ওই মেয়েটির মরদেহ বর্তমানে টাঙ্গাইল জেরারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
মেয়েটির কোন অভিভাবক না পাওয়ায় এ ঘটনায় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী মো. খোরশেদ আলম বাদী হয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেয়েটির পরিচয় জানতে তিনি সর্বসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন। মেয়েটির পরিচয় জানাতে ০১৭৮১২৮৯২৬১(খোরশেদ আলম) এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।