দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৫৩ জন ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৭জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা চলছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণা তুঙ্গে।
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও যাচাই-বাছাইয়ে দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। অপরজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় প্রথম দিকে নির্বাচনী প্রচারণায় ভাটা পড়লেও পরে ধীরে ধীরে জোরে শোরে চলতে থাকে। জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মূলত: আওয়ামীলীগের প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দিনরাত নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন, দিচ্ছেন নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে জেলা পরিষদের ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টাঙ্গাইল সদরের আমেনা আক্তার মিনু আনোহলী(বই), উষা আকতার(ফুটবল), খন্দকার দিলরুবা করিম(হরিণ), নাজমুজ সালেহীন(দোয়াত কলম), নাসিমা আক্তার(টেবিল ঘড়ি), ফেরদৌসী আক্তার রুনু(কম্পিউটার), মীর ফাহমিদা জেরিন(মাইক)। ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নাগরপুরের ছাইদা ইয়াছমিন(দোয়াত কলম), মির্জাপুরের সালমা সালাম উর্মি(ফুটবল)। ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কালিহাতীর আছমা খান(বই), রোকেয়া সুলতানা(ফুটবল), সখীপুরের রুমা খান(হরিণ), বাসাইলের শাম্মী আক্তার মুক্তি(দোয়াত কলম)। ৪ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভূঞাপুরের নাছিমা বাছিত(হরিণ), ঘাটাইলের রাজিয়া হোসেন(টেবিল ঘড়ি)।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে ধনবাড়ীর মাহমুদা খাতুন(হরিণ), গোপালপুরের হাসনা হেনা(দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে টাঙ্গাইল সদরের আহমদ সুমন মজিদ(ঘুড়ি), মেহেদী হাসান ফেরদৌস(উট পাখি), আকরাম হোসেন কিসলু(হাতি), আবদুর রউফ(তালা), আসাদুজ্জামান পবন(টিউবওয়েল), সৈয়দ আরমান হোসেন(বৈদ্যুতিক পাখা)। ২ নম্বর ওয়ার্ডে টাঙ্গাইল সদরের ইকবাল আলম(ঘুড়ি), মোহাম্মদ ইয়াহিয়া দেওয়ান(টিউবওয়েল), আজাদ দেওয়ান(হাতি), আমিরুল ইসলাম(তালা)। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দেলদুয়ারের খন্দকার হামীম কায়েছ বিপ্লব(টিউবওয়েল), গোলাম কিবরিয়া(উট পাখি), ফজলুল হক(তালা), প্রভাংশু রঞ্জন সোম(হাতি)। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নাগরপুরের নার্গিস আক্তার(উট পাখি), মোহাম্মদ সাইদুর রহমান(হাতি), খালিদ হোসেন(ঘুড়ি), শহিদুল ইসলাম(টিউবওয়েল), সুরুজ খান(অটোরিক্সা), শেখ কামাল হোসেন(তালা)। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মির্জাপুরের আব্দুল্লাহ হেল শাফি(বৈদ্যুতিক পাখা), আনিছুর রহমান(হাতি), মঞ্জুর রহমান মজনু(অটোরিক্সা), মোস্তফা হোসেন চৌধুরী(টিউবওয়েল), শামীম কবীর(তালা)। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মির্জাপুরের নুরুল ইসলাম(হাতি), সাইদুর রহমান খান(তালা)। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সখিপুরের খন্দকার কামরুল হাসান(হাতি), বাসাইলের তোফাজ্জল হোসেন খান(তালা)। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কালিহাতীর আরিফুর রহমান সিকদার(ঘুড়ি), বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী(টিউবওয়েল), আলী আকবর মিয়া(বৈদ্যুতিক পাখা), মোবারক হোসেন(হাতি), সখিপুরের মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া(তালা)। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কালিহাতীর জমির উদ্দিন(হাতি), লিয়াকত আলী(তালা)। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভূঞাপুরের আজহারুল ইসলাম(হাতি), আব্দুল হামিদ মিয়া ভোলা(তালা)। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘাটাইলের আবু নইম মোহাম্মদ বজলুর রহীম(টিউবওয়েল), মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান(হাতি), মজিবর রহমান(বৈদ্যুতিক পাখা), শাহান শাহ সিদ্দিকী(তালা)। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মধুপুরের আব্দুল আজিজ (তালা), ঘাটাইলের সুলতান মাহমুদ(হাতি)। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোপালপুরের মীর রেজাউল হক(টিউবওয়েল), আব্দুল কাদের তালুকদার(হাতি), খায়রুল ইসলাম(তালা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার জেলার ১১১টি ইউনিয়ন ও ১১টি পৌরসভা নিয়ে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে টাঙ্গাইল পৌরসভা, করটিয়া, ঘারিন্দা ও গালা ইউনিয়ন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে মগড়া, বাঘিল, দাইন্যা, পোড়াবাড়ী, ছিলিমপুর, কাকুয়া, হুগড়া, কাতুলী এবং মাহমুদনগর ইউনিয়ন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে আটিয়া, দেলদুয়ার, ডুবাইল, ফাজিলহাটি, লাউহাটি, এলাসিন, দেউলী, পাথরাইল, ভারড়া ও সহবতপুরে ইউনিয়ন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ভাদ্রা, দপ্তিয়র, ধুবড়িয়া, গয়হাটা, মাহমুদনগর, বেকড়া আটগ্রাম, সলিমাবাদ, নাগরপুর সদর, মোকনা ও পাকুটিয়া ইউনিয়ন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে আনাইতারা, বানাইল, ভাওড়া, ভাতগ্রাম, ফতেপুর, জামুর্কী, লতিফপুর, মহেড়া, উয়ার্শি, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়ন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে মির্জাপুর, বহুরিয়া, বাঁশতৈল, গোড়াই, তরফপুর, আজগানা ও হাতিবান্ধা ইউনিয়ন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে বাসাইল পৌরসভা, বাসাইল, কাশিল, ফুলকী, কাউলজানী, যাদবপুর, দাড়িয়াপুর, সখিপুর, গজারিয়া ও বহুরিয়া ইউনিয়ন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে বল্লা, নাগবাড়ী, পারখী, বীরবাসিন্দা, পাইকড়া, সহদেবপুর, কোকডহরা, বহেড়াতৈল, কাকড়াজান ও কালিয়া ইউনিয়ন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে কালিহাতী, এলেঙ্গা পৌরসভা, বাংড়া, নারান্দিয়া, সল্লা, দশকিয়া, দূর্গাপুর ও গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ভূঞাপুর পৌরসভা, অলোয়া, গোবিন্দাসী, নিকরাইল, অর্জুনা, ফলদা, গাবসারা, লোকেরপাড়া ও আনেহলা ইউনিয়ন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ঘাটাইল পৌরসভা, ঘাটাইল, দেউলাবাড়ি, দেওপাড়া, দিঘলকান্দি, দিগড়, জামুরিয়া, ধলাপাড়া ও সাগরদিঘী ইউনিয়ন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে রসুলপুর, লক্ষিন্দর, সন্ধানপুর, সংগ্রামপুর, আলোকদিয়া, আউশনারা, কুড়ালিয়া ও মহিষমারা ইউনিয়ন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে অরণখোলা, শোলাকুড়ী, ফুলবাগচালা, গোলাবাড়ি, কুড়াগাছা, বেরীবাইদ, মধুপুর ও মির্জাপুর পৌরসভা। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ধনবাড়ী পৌরসভা, বানিয়াজান, ধোপাখালী, বীরতারা, বলিভদ্র, যদুনাথপুর, পাইস্কা, মুশুদ্দি ইউনিয়ন। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে গোপালপুর পৌরসভা, ধোপাকান্দি, হাদিরা, ঝাওয়াইল, নগদাশিমলা, হেমনগর, আলমনগর ও মির্জাপুর ইউনিয়ন।
এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড নিয়ে ১ নম্বর সংরক্ষিত আসন গঠিত। ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে ২ নম্বর সংরক্ষিত আসন গঠিত। ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড নিয়ে ৩ নম্বর সংরক্ষিত আসন গঠিত। ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয়ে ৪ নম্বর সংরক্ষিত আসন গঠিত এবং ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে ৫ নম্বর সংরক্ষিত আসন গঠিত হয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।