আজ- রবিবার | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৪:৪০
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২ মাঘ, ১৪৩১

টাঙ্গাইল বন বিভাগের তদারকি ব্যাহত ॥ বেশির ভাগ অস্ত্র থানায়

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-47টাঙ্গাইল বন বিভাগের ১২৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে মাত্র ১৫টি ব্যবহার করতে পারছে সংশ্লিষ্টরা। বাকি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়ে আছে পুলিশ লাইন ও থানার অস্ত্রাগারে। এতে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তদারকি ও বনজসম্পদ রার কার্যক্রম মারাতœকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বন বিভাগের সূত্রমতে, প্রশিতি জনবলের অভাব, অস্ত্র রাখার নিরাপদ জায়গা না থাকা ও অকেজো অস্ত্র মেরামত না করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা বন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, জেলার চারটি উপজেলা মধুপুর, সখীপুর, ঘাটাইল ও মির্জাপুরে মোট ১ লাখ ২২ হাজার একর বনভূমি রয়েছে। এই বিশাল এলাকার বনজসম্পদ ও ভূমি রার জন্য বনরী ও বন কর্মকর্তারা নিয়মিত টহল দেন। যথাযথভাবে টহল দেওয়ার জন্য বন বিভাগের ১২৬টি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি চায়নিজ রাইফেল, ২০টি এসএলআর, ৬৭টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ২৩টি বন্দুক। এগুলোর মধ্যে মাত্র আটটি চায়নিজ রাইফেল, ছয়টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও একটি বন্দুক বন বিভাগ ব্যবহার করতে পারছে।
বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, টাঙ্গাইল বন বিভাগে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর মতো প্রশিতি বনরীর অভাব রয়েছে। বেশির ভাগ বিট কার্যালয় প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত ও জরাজীর্ণ। এসব কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা নেই। মাঠপর্যায়ে কর্মরত একাধিক বনরী জানান, অস্ত্র সঙ্গে না থাকায় তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অস্ত্র ছাড়া বনদস্যুদের বাধা দিতে গেলে পাল্টা আক্রমণের শিকার হতে হয়। বড় ধরনের কোনো দখল বা দস্যুতার ঘটনা ঘটলে অস্ত্রের অভাবে বনরীরা তাৎণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন না।
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. মাসুদ রানা জানান, বন বিভাগের বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা অস্ত্র চালনায় পারদর্শী নয়। তাছাড়া অস্ত্র ব্যবহারের বিধি আছে, বিট কার্যালয়গুলোর অধিকাংশের অবকাঠামো অস্ত্র রাখার উপযুক্ত নয়।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়