দৃষ্টি ডেস্ক:
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে নাছিমা আক্তার সোমাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি একই সঙ্গে তাঁর সদস্য পদ স্থগিত রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার(৭ মার্চ) সংগঠনের দফতর সম্পাদক আবু কাউছার খোকন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাব-এডিটরদের প্রাণের সংগঠন ডিএসইসি’র সভাপতি নাছিমা আক্তার সোমা দীর্ঘদিন ধওে তার স্বামীর পরামর্শে সংগঠনকে পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন। সভাপতি ব্যক্তি স্বার্থে বিভিন্ন প্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়ায় তার স্বামীকে দিয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠানের কাছে কুৎসা ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন। বার বার তাকে এ ধরণের অপপ্রচার বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি স্বীয় অবস্থান থেকে সওে আসেননি। উল্টো একাধিক নেতাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকি দিচ্ছেন। অফিসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকা সত্বেও গত এক বছর ধরে তিনি সংগঠনের নথিপত্র, সদস্য ফরম ও রেজুলেশন খাতা তার বাসায় নিয়ে রাখছেন। নতুন সদস্য ভর্তিও ক্ষেত্রেও তিনি ব্যাপক স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।
এদিকে, কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও সভাপতির পদ আকড়ে ধরে রাখতে নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছেন। সভাপতির পরিচয় দিয়ে নানা সুবিধা ভোগ করছেন। এ পরিচয় ব্যবহার করে তার স্বামীর মালিকানাধীন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করছেন। উপ-কমিটি থাকা সত্বেও প্রকাশিতব্য সংগঠনের বার্ষিক স্মরণিকা তার স্বামী উপ-কমিটির কেউ না হয়েও শুধুমাত্র স্ত্রীর দাপটে একাই সম্পাদনা করছেন। সভাপতি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সদস্যদের বার্ষিক চাঁদা সংগ্রহের পরও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে একাধিক সদস্যকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। এ কারণে অনেক সদস্যই চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, সভাপতির এহেন কার্যকলাপে সোমবার(৬ মার্চ) সকালে সংগঠনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের সুনাম ফিরিয়ে আনতে ও সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা রুখতে নাছিমা আক্তার সোমাকে ষবাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সংগঠনের সহ-সভাপতি কেএম শহীদুল হককে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া, সংগঠনের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেও বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।