দৃষ্টি নিউজ:
সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা রোববার(১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির হলে জামিন শুনানির একপর্যায়ে আদালতে উপস্থিত হন নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী ও মামলার বাদী নাহার আহমেদ। তিনি দুটি কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে সাংসদ আমানুরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোকে আমরা সন্তানের মতো মনে করতাম। আর তুই আমাকে বিধবার শাড়ি পরালি।’ এ সময় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন সাংসদ আমানুর।
এদিকে, আমানুরের আদালতে হাজির হওয়ার খবরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আদালত এলাকায় ভিড় করেন। পুলিশ সহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনী আদালত এলাকায় সতর্ক পাহারা বসায়। সাংসদ রানাকে বেলা ১১টার দিকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পরপরই আদালত এলাকায় নাহার আহমেদের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নাহার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে কথা দিয়েছেন, ফারুকের হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা নেবেন। তাঁর প্রতি আমার আস্থা আছে। কোনো হত্যাকারীই পার পাবে না।’ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা তানভীর হাসান, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রকাশ, চাঞ্চল্যকর ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জেলার সাবেক ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ অপর আসামীরা হচ্ছেন, কবির হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ মিয়া, চাঁনে, নুরু, সানোয়ার হোসেন ও দাত ভাঙ্গা বাবু। এরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪/১২০ বি ধারায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে আসামী আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ মিয়া, সমির টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশ ১৪জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।