আজ- শুক্রবার | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৪ মাঘ, ১৪৩১ | সকাল ৭:৪১
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
২৪ মাঘ, ১৪৩১
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৪ মাঘ, ১৪৩১

দেলদুয়ারে তাঁত শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু

দৃষ্টি নিউজ:

news_imgটাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী গ্রামের নিতাই বসাকের বাড়ির তাঁতঘর থেকে সুকুমার (৪৮) নামে এক তাঁত শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার(১ জানুয়ারি) সকালে তাঁত ঘরের ভেতরের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুকুমারের বাড়ি উপজেলার দুল্যা গ্রামে। সুকুমারের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে পুলিশ ও জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ‘মনে-মন্টুর শাড়ী’ নামে পরিচিত এই শাড়ি কারখানায় শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মনে-মন্টু ও পলান বসাকের বাবা নিতাই বসাক বলেন, গত ২৫ বছর ধরে সুকুমার তাদের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছে। প্রতিবেশী দুর্গা রোববার সকালে সুকুমারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
প্রতিবেশী দুর্গা জানান, ভোরে সুকুমারের ভাই রণজিৎ তাকে সুকুমারের মৃত্যুর খবর দেন। প্রতিবেশী অন্যান্যরা বলেন, শুনেছি রাতে অসুস্থ হয় সুকুমার। তাকে মাথায় পানি দেয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকও ডাকা হয়।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলে অতিরিক্ত মদ পানের কারণে সুকুমারের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। শোয়ার ঘর খোলা, শরীরে মাটি থাকা, পরনের কাপড় ভেজাসহ বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়ে স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, তাকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে শোয়ার ঘরে রেখে গেছে।
সুকুমারের ভাই রণজিৎ জানান, মনে-মন্টুর বাড়ির ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন তার ভাই মারা গেছেন।
পুলিশও সুকুমারের মৃত্যুকে প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক বলে মনে করছে। স্থানীয়রা বিষয়টি থানায় না জানিয়ে ধামাচাপা দিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় মামলা দায়ের করেনি। প্রাথমিকভাবে সুকুমারের মৃত্যু রহস্যজনক মনে করে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়