দৃষ্টি নিউজ:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাইতেও খারাপ নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
মঙ্গলবার(৬ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেসে’ যোগ দিয়ে বঙ্গবীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোট প্রয়োগ করতে পারে নাই- যারা কেন্দ্রে যায়নি তাদের ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ৫% ভোট দিতে যায় নাই, আর যারা অন্য দল করে তাদের ১% ভোটারও ভোট দিতে যায়নি। বাসাইল-সখীপুরে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। যারা ডিউটিতে ছিল- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, তারা যদি চুরি করে তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কি শিখবে। এদের হাতে জাতি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এক চোরের বিচার আরেক চোরের কাছে দিয়ে কি হবে? আমার জন্য রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমি করবো না। তাই নির্বাচনে অনিয়ম হলেও তা তিনি মেনে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে সংসদ আছে- সংসদ সদস্যের কোন মর্যাদা নাই, রাজনীতি আছে- নেতাদের মূল্যায়ন নাই, আমেরিকা এই নির্বাচন মেনে নিলো কি নিলো না সেইটা দেখার বিষয় না। আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কিনা- এইটা হলো বড় বিষয়। তবে আমি জানি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি- মানুষও খুশি না। এ ভোটে সরকার স্বস্তিতে নাই। নির্বাচনে যদি ৭০% ভোট পড়তো তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কোথাও কোথাও ২৫% ভোটও হয়নি। সরকারকে স্বস্তিতে থাকার জন্য মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে নির্বাচন হয়েছে- এইভাবে ভোট হলে মানুষ কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে মানুষের মধ্যে অনীহা চলে এসেছে। আমি নির্বাচন করেছি, ভোটেও অনিয়ম হয়েছে।
বঙ্গবীর বলেন, আমি যদি সত্যিকারের ভোটে হেরে গিয়ে থাকি- তাহলে বঙ্গবন্ধু হেরে গিয়েছে। জাতি যদি মনে করে মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না- দেশের স্বাধীনতা চায়না। তাহলে বলবো আমি হেরে গেছি এবং একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুও হেরে গেছেন।
জনাকীর্ণ ওই মিট দ্য প্রেসে দলীয় নেতাকর্মী ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন সহ বিভিন্ন প্রিণ্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।