আজ- শনিবার | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | রাত ১২:০৪
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

নকল চিনা ডিম চিনে নিন ॥ সতর্ক থাকুন

দৃষ্টি ডেস্ক:

dristytv-5
শুধু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বা আতসবাজি নয়, খাবারের বাজারও ছেয়ে গিয়েছে চিনা দ্রব্যে ৷ জানা যাচ্ছে, ভারতীয় বাজার ছেয়ে গিয়েছে নকল চিনা ডিমে। এই ধরনের কৃত্রিম ডিম কেবল চিনেই তৈরি হয় ৷ সে দেশেও এই ডিমের ব্যাপারে সতর্ক হয়েছে মানুষ ৷ কিন্তু অন্যান্য নানা দেশে অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে এই নকল ডিম। ভারতের বাজারও এর ব্যতিক্রম নয় ৷বাংলাদেশে অবশ্য এখনও এর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কৃত্রিম এই ডিমের খোলস তৈরি করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে ৷ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ তৈরি হয়েছে সোডিয়ামজাত রাসায়নিক, খাবার সোডা, জিলেটিন প্রভৃতি রাসায়নিক দিয়ে ৷বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে যে রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, তা নয়৷ তবে কোন খাবারে কী পরিমাণে রাসায়নিক থাকবে তার নির্দিষ্ট মাপকাঠি আছে ৷সরকারের তরফে তা পরখ করে দেখার ব্যবস্থাও আছে ৷সেই ছাড়পত্র নিয়েই বাজারে খাবার বিক্রি হয় ৷কিন্তু কৃত্রিম এই ডিমের ক্ষেত্রে তার বালাই নেই ৷ফলে না জেনেই এই ডিম কিনে ফেলছেন সাধারণ মানুষ ৷আর তাতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে শরীরের ৷
সাধারণত আসল ডিমের সঙ্গে এই কৃত্রিম ডিমের তফাত প্রায় নেই বললেই চলে ৷তবে কিছু সূক্ষ্ম ফারাক আছে ৷বড়সড় ক্ষতি হওয়ার আগে জেনে নিন, কোন উপায়ে চিনবেন নকল চিনা ডিম-

*নকল ডিমের খোলস সাধারণ ডিমের থেকে একটু বেশি উজ্জ্বল হয় ৷খালি চোখে ফারাকটা তেমন বোঝা যায় না ৷তবে খেয়াল করলে বোঝা যায় বাড়তি উজ্জ্বল নকল ডিমের খোলা ৷
*সাধারণ ডিমে সাধারণত মাংস জাতীয় গন্ধ থাকে, যা এই কৃত্রিম ডিমে থাকে না ৷
*নকল ডিম ঝাঁকালে ভিতরে তরলের নড়াচড়ার শব্দ পাওয়া যায় ৷সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে যা হয় না ৷
*ডিম ভাঙার ক্ষেত্রে সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে যে আওয়াজ হয়, তা কৃত্রিম ডিম ভাঙার সময় হয় না ৷
*কৃত্রিম ডিম ভেঙে রাখলে ডিমের কুসুম ও সাদা অংশ মিশে যায় ৷রাসায়নিক কারণেই একই জাতীয় পদার্থ মিলেমিশে যায় ৷সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে তা হয় না ৷
*ভাজার জন্য কৃত্রিম ডিমের কুসুম কড়াইতে দেওয়া মাত্র তা ছড়িয়ে পড়ে ৷কিন্তু সাধারণ ডিমের ক্ষেত্রে তা ছড়িয়ে দিতে হয় ৷

–এই তফাতগুলো খেয়াল করে তবেই ডিম কেনা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ইতিমধ্যেই নানা ক্ষেত্রে ভারতের বাজারের দখলদারি নিয়েছে চিন ৷তবে উরি হামলার পরে জৈশ নেতা মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রে চিনের বাধা দেওয়ায় ভারতের প্রতি চিনের বিরাগ প্রকাশ হয়ে পড়েছে ৷আর তারপরই চিনা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশবাসী ৷সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে লাগাতার প্রচার চালানোয় দীপাবলির মুখে চিনা আলোর বিক্রি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ ৷সেই পথ ধরে চিনা ডিম বয়কটেরও ডাক শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে ৷

সূত্র: অনলাইন মিডিয়া।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়