দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় যমুনা নদীর আটাপাড়া ও কুকুড়িয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ১২৫ কোটি টাকার বেড়ি বাঁধসহ নাগরপুর, টাঙ্গাইল সদর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকিতে পড়েছে। বাঁধের পাশে যমুনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের আটাপাড়া, মারমা, ধলাই, শাহজানী, টাঙ্গাইলের সদরের মাহমুদনগর ইউনিয়নের কুকুড়িয়া, মাইঝাইল, হরিপুর, নয়াপাড়া ও চৌহালী উপজেলার একাধিক গ্রামের জনসাধারণ যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় পারিপার্শ্বিক কারণেই মানুষ অসহায়ভাবে জীবনযাপন করে আসছেন। তিনটি উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের আবাদি জমি, ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র এমদাদুল গ্রুপ ও রনজু গ্রুপের লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। বেড়ি বাঁধ রক্ষা ও অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে আটাপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক মাস্টার টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহীদ ইলাহি বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত সাপেক্ষে অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।