দৃষ্টি নিউজ:
উৎসব ও উৎকণ্ঠার মাঝে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে এ ভোট গ্রহণ। শীতের কুয়াশা পেরিয়ে সকাল থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন ভোটাররা। কিছু কিছু কেন্দ্রে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন।
ভোট গ্রহণ ও ভোটারদের নিরাপত্তায় মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৯ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাতেই বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর নৌকা ও বিএনপি মনোনীত অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে।
স্থানীয়রা বলছেন, নারী ভোটার, নতুন ভোটার ও সংখ্যালঘু ভোটারদের উপর জয় পরাজয় নির্ভর করবে। এদের ভোটেই নিধারিত হবে নগরভবনে কে বসবেন। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলেও ১৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৪৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে বন্দর থানার ৪৮টি কেন্দ্রের সবক’টিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছে পুলিশ।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সেলিনা হায়াত্ আইভী বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’ বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২২ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৮১টি টিম, ৭২টি মোবাইল টিমসহ ৯ হাজার পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড ও শিল্প পুলিশ স্ব স্ব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দুস্কৃতকারীদের দ্রুত সনাক্ত করতে র্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল মাঠে নেমেছে। শহরের চাষাড়া এলাকায় বিশেষ মহড়া দেন র্যাবের ডগ স্কোয়াড সদস্যরা। র্যাব-১১’র উপ অধিনায়ক নরেশ চাকমা জানান, র্যাব স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে কাজ করছে।
রিটার্নিং অফিসার নরুজ্জামান তালুকদার জানান, প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণসহ আইন-শৃংখলা বাহিনী মাঠে নেমেছে। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদসহ তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
নির্বাচনে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ৭ জন পুলিশ, ব্যাটালিয়ান আনসার ১ জন এবং ১৪ জন আনসার এবং ভিডিপিসহ মোট ২২ জন দায়িত্ব পালন করবে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে থাকছে ২৪ জন সদস্য।