আজ- বুধবার | ২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৫:৪১
২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১
২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

পুরুষ নির্যাতনেরও জরিপ হওয়া উচিত….মৃদু হাসিতে পরিকল্পনামন্ত্রী

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-18
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে নারী ও পুরুষকে আমরা সমানভাবে দেখি। সব ক্ষেত্রে সমতায় আনছি। এক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে আমরা এগিয়ে। তাই শুধু নারীর ওপর এই ধরনের জড়িপ না করে পুরুষ নির্যাতনেরও একটি জড়িপ হওয়া উচিত। রোববার(২ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ভায়োল্যান্স অ্যাগেন্সট উইম্যান-২০১৫’ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। মন্ত্রীও মৃদু হাসেন।
মন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে এ সমস্যা আরো অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রতিবেশী ভারতে প্রতি তিন মিনিটে একজন নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সেই তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো। তবে আমাদের আরো ভালো করার সুযোগ আছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের জন্যই নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা কমাতে হবে। বর্তমান সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ফলে সহিংসতা আগের চেয়ে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তারপরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরে প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার বলেন, ২০১৫ সালের ১৩ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী ২১ হাজার ৬৮৮ নারী নমুনা জরিপে অংশ নেন। ওই জরিপের ভিত্তিতে ফলাফল তৈরি করা হয়। ফলাফল অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চার বছরে বিবাহিত নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন কমলেও শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। ২০১৫ সালে প্রায় ৫০ শতাংশ বিবাহিত নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এই সময়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৭ শতাংশ বিবাহিত নারী। ২০১১ সালে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের এই হার ছিল যথাক্রমে প্রায় ৪৮ ও ৩৭ শতাংশ।
জরিপে আরো বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের মধ্যে স্ত্রীর আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যে নির্যাতন করা হয় তা ১৫ শতাংশ। ১৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনে শিকার হয়েছেন। জাতীয় পর্যায় ও গ্রাম পর্যায়ে বিবাহিত নারীদের নির্যাতনের হার প্রায় কাছাকাছি। গ্রামের ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ বিবাহিত নারী জীবনের কোন না কোনভাবে স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে এই হার ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া শহরে এর হার ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ।
অর্থনৈতিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও জাতীয় ও গ্রামীণ স্তরের চিত্র প্রায় অভিন্ন। গ্রামের ১২ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার। শহরে বিবাহিত নারীদের মধ্যে এই হার ১০ দশমিক ২ শতাংশ। জাতীয়ভাবে এই হার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া শিক্ষিত স্বামী ও শিক্ষিত স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রে নির্যাতন করার প্রবণতা এবং নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা কম বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়।
বিবিএসের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি আর্জেন্টিনা প্রিসিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন, পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়