আজ- মঙ্গলবার | ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
৩০ পৌষ, ১৪৩১ | রাত ১:৩২
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫
৩০ পৌষ, ১৪৩১
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ, ১৪৩১

পুলিশের হস্তক্ষেপে কয়েকটি পরিবার অবরোধ মুক্ত

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-fo-64
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের বালোবাড়ি গ্রামের কয়েকটি অসহায় পরিবার একটানা সাত দিন বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশী হস্তক্ষেপে মুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, বালোবাড়ি গ্রামের আবু হানিফ মিয়া মেয়ের বিয়ের খরচের প্রয়োজনে দশ শতাংশ আবাদী জমি ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির জন্য একই গ্রামের প্রভাবশালী ওমর আলীর সাথে বায়নাপত্র মূলে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন। দুই মাস কেটে গেলেও সমুদয় মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে নানা ছলছুতো দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। ইতিমধ্যে জমির দখল নিয়ে মাটি কেটে জমির শ্রেণি রুপান্তর করে ফেলা হয়। দরবার-সালিশ সত্বেও বাকি টাকা পরিশোধ অথবা জমি রেজিস্ট্রি করে নিতে টালবাহানা শুরু করে ওমর।
অসহায় আবু হানিফ হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে বিরোধ নিস্পত্তির জন্য লিখিত অভিযোগ দিলে ইউপি চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে আবু হানিফকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সাপেক্ষে বায়নার সমুদয় টাকা ওমর আলীকে ফেরত দেয়ার রায় দেন। রায়ে আবু হানিফ অন্যত্র জমি বিক্রি করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। কিন্তু পরদিন আবু হানিফ ওই জমি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ভাতিজা জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে বিক্রি করেন। এতে ওমর আলী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য গত ৪ নভেম্বর জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ি যাওয়ার পথে বাঁশ দিয়ে শক্ত বেড়া দেয়। এতে জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের সকল লোকজন বাড়িঘরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বড়দের হাটবাজার অথবা জরুরি কাজে বাইরে যাওয়া সম্ভব ছিলনা। একটানা সাত দিন অবরুদ্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) হেমনগর ইউপি চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব হেমনগর ফাঁড়ির দারোগা লিটন হোসেনকে সাথে নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং বেড়া উঠিয়ে অবরুদ্ধদের মুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে রওশন খান আইয়ুব জানান, ওমররা খুব প্রভাবশালী। বিষয়টি ছিল খুবই নিন্দনীয়। কোনো বিরোধকে কেন্দ্র করে এভাবে কেউ কারো যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করতে পারেনা।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়