দৃষ্টি নিউজ:
দেশের খ্যাতিমান সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতনের ‘আমার দেখা আমার লেখা’ বইটি এবারের অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় মোড়ক উন্মেচনের পর থেকেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বই মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইয়ের মোড়ক উন্মেচন করেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা দেশ বরেণ্য সাংবাদিক ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে দৈনিক বর্তমানের উপদেষ্টা সম্পাদক, জাতীয় প্রেসকাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক প্রেস মিনিস্টার স্বপন কুমার সাহা, জাতীয় প্রেসকাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের সিটি এডিটর শাহেদ চৌধুরী, বইয়ের লেখক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন ও লেখা প্রকাশের স্বত্বাধিকারী বিপ্লব ফারুকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লেখক রফিকুল ইসলাম রতন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারের সন্তান। স্কুলের ম্যাগাজিনে লেখার মধ্য দিয়েই তার লেখালেখির হাতেখড়ি। শিক্ষা জীবনে থাকা অবস্থাতেই তিনি সৌখিন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় থেকে শুরু করেন প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিকতা। যা পরবর্তীতে তাকে একজন সফল ও স্বনামধ্য পেশাজীবী সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে, তীব্র প্রতিযোগিতা ও পরশ্রিকাতরতার মধ্যেও নিজ প্রতিভা, মেধা, ধৈর্য, মননশীলতা এবং অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে তীব্র সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের মধ্যেও তিনি একজন সৎ, আপাদ মস্তক পেশাদার, বন্ধুবৎসল, সদালাপি ও রুচিশীল অতি সাধারণ মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। সুনাম অর্জন করেছেন, পেয়েছেন খ্যাতিও। সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন দক্ষ নিবন্ধ লেখক, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ রচনা এবং অসম্ভব জানার আগ্রহ থেকে প্রচুর পড়াশোনায় অভ্যস্ত রফিকুল ইসলাম রতনের বহুমাত্রিক অনেক গুণাবলিই অগোচরে রয়ে গেছে। এই চারিত্রিক গুণাবলি ও অভ্যাস থেকে তিনি নিজের বাসায় যেমন গড়ে তুলেছেন বিশাল গ্রন্থাগার ও রেফারেন্সের ভা-ার, তেমনি বহু সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই পরিচিতি পেয়েছেন একজন দক্ষ সংগঠকের। পেশার প্রয়োজনে এবং ব্যক্তিগতভাবে তিনি ভ্রমণ করেছেন বিশ্বের ৫৭টি দেশ। পারিবারিক ঐতিহ্যের পথ ধরেই পালন করেছেন পবিত্র হজ।
বহুমুখী প্রতিভা ও বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী রফিকুল ইসলাম রতন শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত এবং অত্যন্ত স্বনামধন্য তালুকদার বংশের সন্তান। ১৯৬১ সালের পয়লা জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী নগরবাড়ি গ্রামের তালুকদার বাড়িতে তার জš§। তার পূর্বপুরুষ অর্থাৎ পিতামহের বাবা (১৮৮৬ সালে) টাঙ্গাইলের করটিয়ার প্রখ্যাত জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী ও গোপালপুরের জমিদার হেমেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরীর জমিদারি এস্টেট থেকে ছয়আনী তালুক সম্পত্তি ক্রয় করে তালুকদার উপাধিতে ভূষিত হন। পিতামহ আফাজউদ্দিন তালুকদার ছিলেন একটানা দীর্ঘ ৪০ বছর স্বনামধন্য প্রজাহিতৈষী পঞ্চায়েত। ১৯৫৭ তিনি হজব্রত পালন শেষে মদিনা শরিফে ইন্তেকাল করেন এবং রসুল করিম (সা.) এর রওজার সন্নিকটে জান্নাতুল বাকিতে তার দাফন হয়। লেখক রফিকুল ইসলাম রতনের পিতামহ (দাদা) আলহাজ আফাজ উদ্দিন তালুকদার ছিলেন খুবই মানব দরদি এবং বিদ্যোৎসাহী। তিনি ওই সময় (১৯০০ শতকের প্রথমে) তার বড় ছেলে আব্দুল আজিজ তালুকদারকে কলকাতা পাঠিয়ে এলএমএফ (লাইসেন্স অব মেডিকেল ফেকাল্টিস) পাস করিয়ে নিয়ে আসেন। দ্বিতীয় ছেলে তায়েব উদ্দিন তালুকদার (টি. তালুকদার) কে সেই ১৯২৭ সালে বিলাত পাঠান ব্যারিস্টারি পড়ানোর জন্য। টি. তালুকদার পরবর্তীতে কলকাতায় জেলা জজ এবং ৪৭ পরবর্তী সময়ে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। টি. তালুকদার বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন নীরব সৈনিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সেই সময়ে অর্থাৎ ১৯৫৭ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি বহুবার নিজস্ব ক্ষমতাবলে উপযুক্ত প্রমাণ ও কাগজপত্র ছাড়াই হাইকোর্ট থেকে জামিন দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিচারপতি টি. তালুকদারকে স্ক্রিনিং বোর্ডের চেয়ারম্যান করে সম্মানিত করেছিলেন। জনাব রতনের পিতা আলহাজ মোজাফ্ফর আলী তালুকদার ১৯২৯ সালের স্নাতক এবং ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ডিরেক্টর (ফুড) পদে কলতকাতা, বর্ধমান, কালনা, আজমীর ও শিলংসহ বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেছেন। পবিত্র হজব্রত পালন শেষে ২০১০ সালের ৪ মে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার নানা রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীও ছিলেন টাঙ্গাইলের পাঁচআনী জমিদারের পঞ্চায়েত এবং স্বনামধন্য সমাজসেবক। বড় মামা সাহাব উদ্দিন চৌধুরী ও ছোট মামা অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন চৌধুরী অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দীর্ঘ প্রায় চার যুগ নারান্দিয়া ইউনিয়েনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তার মা হাজেরা খাতুনও ছিলেন একজন স্বনামধন্য সমাজ সেবিকা, বিদ্যোৎসাহী, দক্ষ গৃহিণী এবং মানবতার সেবক। তিনি ১৯৮৪ সালে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতন তিন ভাই ও চার বোনের সবার ছোট। তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বড় ভাই মোজহারুল ইসলাম তালুকদার (ঠা-ু) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ প্রায় তিনযুগ ধরে তিনি কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান। মেঝ ভাই আজহারুল ইসলাম তালুকদার (মজনু) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিএডিসির অডিট বিভাগে চাকরি জীবন সমাপ্ত করে বর্তমানে অবসরে আছেন।
বংশগতভাবে তিনি ‘তালুকদার’ হলেও রফিকুল ইসলাম রতন নামেই লেখালেখি করেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রাবস্থাতেই তিনি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া টিআরকেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘হাতেখড়ি’তে (১৯৭৪ সাল) কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্র থাকাকালীনও তিনি নিয়মিত টাঙ্গাইল জেলার প্রথম পাক্ষিক পত্রিকা ‘টাঙ্গাইল সমাচার’ এ লিখেছেন (১৯৭৬-৭৮) এবং সৌখিন রিপোর্টার হিসেবে নিউজ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি অধুনালুপ্ত সরকারি ট্রাস্টের পত্রিকা ‘দৈনিক বাংলার’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক সাংবাদিকতা শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর রফিকুল ইসলাম রতন ১৯৮৪ সালে টাঙ্গাইলে অবস্থানকালে জেলার প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ঝংকার’ এর বার্তা সম্পাদক, ‘সাপ্তাহিক টাঙ্গাইল বার্তার’ নির্বাহী সম্পাদক, দৈনিক বাংলার টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়েই টাঙ্গাইল জেলার প্রথম দৈনিক পত্রিকা ‘দৈনিক মফস্বল’ প্রকাশে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক বাংলার ঢাকা অফিসে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৭ সালে পত্রিকাটি বন্ধের দিন পর্যন্ত সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক বাংলা বন্ধের পর রফিকুল ইসলাম রতন দৈনিক বাংলার বাণীর বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে প্রায় দেড় বছর ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৯ সালে দৈনিক যুগান্তরের জন্ম পরিকল্পনার সময়েই বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে যোগদান করেন। বিশেষ সংবাদদাতা পর তিনি একটানা দীর্ঘ সময় (সাড়ে ৯ বছর) চিফ রিপোর্টারের দায়িত্ব পালন শেষে ডেপুটি এডিটরের দায়িত্ব পালন) করেন। যুগান্তরের অভ্যন্তরীণ অপেশাদার সুলভ কার্যক্রমের প্রতিবাদ করে তিনি ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করে দৈনিক বর্তমানে নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রতনে অন্যতম প্রধান নেশা বই পড়া। বই পড়া থেকেই বই সংগ্রহ। যে কোনো বইয়েরই তিনি একাগ্র পাঠক। ছোট বড় সব ধরনের ম্যাগাজিন খুটে খুটে পড়া এবং সংগ্রহে রাখা তার একটি অভ্যাস। শত ব্যবস্থতার মাঝেও তিনি প্রতিদিনই কোনো না কোনো বই পড়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নোট করেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছবি তোলার প্রতি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। বিগত প্রায় ৪০ বছরে তিনি বহু ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে যেসব ছবি তুলে সংগ্রহে রেখেছেন তার সংখ্যা ১০ হাজারেও বেশি। দেশ বিদেশে ভ্রমণের প্রতি রয়েছে তার বিশেষ নেশা। পুরো পরিবার নিয়ে প্রায়ই তিনি বেড়াতে বের হয়ে পড়েন। হজব্রত পালনসহ তিনি পেশাগত কারণে ভ্রমণ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নরওয়ে, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্কসহ ইউরোপের বহু দেশ। ভ্রমণ করেছেন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইয়ামেন, ভারত, নেপাল, আইভরিকোস্ট, সিয়ারালিয়ন, লাইবেরিয়া, গিনিসহ এশিয়া এবং আফ্রিকারও বিভিন্ন দেশ।
পড়াশোনার প্রতি ব্যাপক আগ্রহী রফিকুল ইসলাম রতনের সংগ্রহে রয়েছে ৭ হাজারেরও বেশি ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সংস্কৃতিসহ গুরুত্বপূর্ণ বই। তার কাছে আছে বিগত ৩০ বছরের জাতীয় পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ ক্রোড়পত্র, কাটিং এবং বিশেষ সংখ্যা। আছে সমসাময়িককালের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার খবর ও ছবি। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কার বিভিন্ন পত্রিকা, তথ্যচিত্র ও ছবি। বিশ্বের প্রায় সব মনীষীর জীবনীও তার সংগ্রহে রয়েছে। রয়েছে ইসলাম, সনাতন (হিন্দু), বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের ওপরও অসংখ্য বই এবং প্রকাশনা। তার লাইব্রেরিতে রয়েছে এক সময়কার পাঠক নন্দিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা, রোববার, পূর্ণিমা, অগ্রপথিক, আনন্দ বিচিত্রা, দেশ, সানন্দা, আনন্দলোকসহ অসংখ্য ম্যাগাজিন। তাছাড়া তার সংগ্রহে রয়েছে সাংবাদিকতা বিষয়ের বিভিন্ন প্রকাশনা যেমন- জাতীয় প্রেস কাব, বিএফইউজে (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআইউ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট প্রায় সব ম্যাগাজিন।
পেশাগত সাংবাদিক সংগঠন ছাড়াও তিনি বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ তিন বছর ধরে যুক্ত। রফিকুল ইসলাম রতন জাতীয় প্রেসকাবের স্থায়ী ও সিনিয়র সদস্য, ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বিএফইউজে এবং ডিইউজের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই সদস্য, টাঙ্গাইল সমিতি ঢাকার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ২৩ বছর দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে নির্বাহী পরিষদ সদস্য, তার নিজ স্কুল-নারান্দিয়া টি আর কে এন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজীবন সদস্য, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের নির্বাহী সদস্য, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, আজীবন সদস্য-টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি-স্কাইলাইন স্কুল-রামপুরা, সভাপতি-মানবতা (দুস্থ অসহায় রোগীদের সেবামূলক সংগঠন), সাংবাদিক মুনাজাত উদ্দিন স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি, কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উপদেষ্টা এবং ভাওয়াইয়া (লোক সঙ্গীতভিত্তিক সংগঠন) উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তিনি যুক্ত থেকে নানাভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন স্বনামধন্য সমাজসেবকও।
‘আমার দেখা আমার লেখা’ তার প্রথম প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থ হলেও প্রায় অর্ধশতাধিক বই, অসংখ্য পত্রিকা ও ম্যাগাজিন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্রোড়পত্রেও তার শতাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তার দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময়ের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার আলোকে অন্যতম গবেষণাধর্মী কাজ হচ্ছে ‘উপমহাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন।’ দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর শ্রমের পর পা-ুলিপিটি এখন প্রায় চূড়ান্তের পথে। তাছাড়া ‘বিস্ময়কর পশ্চিম আফ্রিকা’, ‘হজ ও প্রসঙ্গ কথা,’ ‘বিশ্ব ভ্রমণ’, ‘প্রিয় জেলা টাঙ্গাইল’ নামেও তার লেখার আরও চারটি পা-ুলিপি শেষের পথে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাংবাদিক ও লেখক রফিকুল ইসলাম রতনের এসব প্রতিটি লেখা ও গ্রন্থ রুচিশীল ও অনুসন্ধানী পাঠকদের মনের খোড়াক মেটাবে।
বইটি মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লেখা প্রকাশ, স্টল নম্বর ৬৪৩সহ বিভিন্ন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। বইটির ভূমিকা লিখেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রখ্যাত কবি সাজ্জাদ কাদির এবং প্রচ্ছদ এঁকেছেন বিশিষ্ট শিল্পী সৈয়দ লুৎফুল হক। ৬২০ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৬০০ টাকা।