আজ- শুক্রবার | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ আশ্বিন, ১৪৩২ | রাত ৩:০২
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৪ আশ্বিন, ১৪৩২
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৪ আশ্বিন, ১৪৩২

বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক জেল-হাজতে

দৃষ্টি নিউজ:

গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক

টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান মসজিদ দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলামকে(৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে বুধবার(২১ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট(সদর থানা আমলী) আদালতে হাজির করলে বিচারক মুনিরা সুলতানা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল-হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃত মো. হাফিজুল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে।

মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগদেউলী গ্রামের জনৈক ব্যক্তি তার ছেলেকে(১০) টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান মসজিদ দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আবাসিকে রেখে পড়ালেখা করার জন্য ৮ মাস আগে ভর্তি করেন। ছেলেটি ওই মাদ্রাসার আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলার উত্তর পাশের ঘরে থাকত। গত রমজান মাসে ছেলেটিকে তার সীট থেকে শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম তার কাছের সীটে নিয়ে আসে। গত ২৩ মে থেকে ছেলেটিকে বিভিন্ন সময় শিক্ষক মো. হাফিজুল ইসলাম মারপিট সহ নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় রাতেই বলাৎকার করত। শিশুটি বাঁধা ও চিৎকার করার চেষ্টা করায় তাকে মারধর এবং ভয়ভীতি দেখান। ভয়ে শিশুটি মাদ্রাসা থেকে কয়েক দফায় পালিয়ে যায়।

গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যার দিকে পুনরায় শিশুটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায় এবং কান্নাকাটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে শিশুটি তার মাকে বলে, ‘খুন করার হুমকি দিয়ে মাদ্রাসার হুজুর হাফিজুল প্রায় রাতেই বলাৎকার করত, সে লজ্জায় ওই মাদ্রাসায় পড়ালেখা করবেনা’।

বলাৎকারের শিকার শিশুটি জানায়, এ ঘটনা মাদ্রাসায় তার সহপাঠী কয়েক ছাত্র জানতে পেরে মাঝে-মধ্যে টিককারী ও ভৎর্তসনা করত।

শিশুটির বাবা ও মামলার বাদী জানান, মঙ্গলবার(২০ আগস্ট) তিনি টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় লম্পট শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জিন্নাত আলী জিন্নাহ বলেন, ‘মনে হচ্ছে এটা শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত। তবে ওই শিক্ষক যদি এ জঘণ্য কাজ করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুহা. মনির আহমেদ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েয়েছে। বলাৎকারের শিকার ছাত্রটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়