আজ- সোমবার | ২৪ মার্চ, ২০২৫
১০ চৈত্র, ১৪৩১ | সন্ধ্যা ৭:৪৩
২৪ মার্চ, ২০২৫
১০ চৈত্র, ১৪৩১
২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০ চৈত্র, ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলারে এখনো পাকিস্তান!

দৃষ্টি নিউজ:

140906a
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এখনো জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর এলাকায় বংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলারগুলোতে লেখা রয়েছে পাকিস্তানের নাম। জামালপুরের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায় এ দৃশ্য।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় স্থাপিত ইন্দ-পাক লেখা পিলারগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে আঘাত করে এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে বীরদর্পে। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে ১৩টি সরকার ক্ষমতার পালাবদলে থাকলেও এ পর্যন্ত কেউ কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির মুখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ঘোষণা দিলেও এ পর্যন্ত তা বাস্তাবায়িত হয়নি।
জামালপুরে দায়িত্বরত ৩৫ বর্ডার গার্ডের কমান্ডেন্ট অফিসার (সিও) লে. কর্নেল রফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় পাকিস্তান লেখা মেইন পিলার রয়েছে ৬২টি, সাব পিলার রয়েছে ৪৫৫টি এবং টি পিলার রয়েছে ৫৫০২টি। মেইন পিলারের মধ্যে জামালপুর সীমান্তে রয়েছে ১৮টি। সাব পিলার রয়েছে অর্ধশতাধিক আর টি পিলারের সংখ্যা ২১৮টি।
বকশীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী মফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। অথচ ৪৫ বছরেও দেশের কোনো সরকারই ওই পাক লেখা পিলার পরিবর্তন করেনি। এতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পিলারগুলোর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আজও পাকিস্তানের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।
স্থানীয় মুক্তযোদ্ধা অধ্যাপক আফসার আলী বলেন, জীবন বাজি রেখে ৯ মাস যুদ্ধ করে এ দেশকে স্বাধীন করেছি। ৪৫ বছরেও এগুলো পরিবর্তন না হওয়ায় আমরা মর্মাহত। অবিলম্বে এগুলো পরিবর্তন করে পাকিস্তান লেখাটি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ লেখার জোর দাবি করছি। জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, সীমান্ত পিলারের বিষয়টি ইত্যিমধ্যে ভূমি জরিপ অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধকালে জামালপুরের এ সীমান্তে ১১ নম্বর সেক্টরের সদর ছিল। এ সেক্টরের নেতৃত্ব দেন কর্নেল তাহের। এখানে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ চলাকালে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনসহ ২৬২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অবশেষে ৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্ত হয় জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর। সেই থেকে স্বাধীন বাংলার আকাশে উড়তে শুরু করে লাল সবুজের পতাকা।

সূত্রঃ অনলাইন, কালের কণ্ঠ

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়