দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইফ সায়েন্স অনুষদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘লাইফ সায়েন্স বিষয়ক তৃতীয় আর্ন্তজাতিক সম্মেলন’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার(১১ জানুয়ারি) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভিসি) অধ্যাপক ডক্টর হোসাইন উদ্দিন শেখর সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কনফারেন্স হলে আয়োজিত ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভিসি) অধ্যাপক ডক্টর মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভিসি) অধ্যাপক ডক্টর এসএম আব্দুল আউয়াল এবং জামালপুর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভিসি) অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সম্মেলনের আহ্বায়ক ও ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ উমর ফারুক।
তৃতীয় আন্তর্জাতিক ওই সম্মেলনে সম্মেলনে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব নিউ ম্যাক্সিকোর অধ্যাপক ডক্টর জিয়ারত হোসাইন, জেনোফ্যাক্স অস্ট্রেলিয়ার জিন বিজ্ঞানী ডক্টর আবেদ চৌধুরী, দক্ষিণ কোরিয়ার কংজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর হ্যাংমুক চো এবং নেপাল থেকে ৭জন গবেষক অংশ নেন। এছাড়া ফিলিপাইন থেকে ৫টি সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের ৫৩০টি গবেষণাপত্র জমা পড়ে। এরমধ্য থেকে ৪৮৮টি পেপার গৃহীত হয়। সম্মেলনে প্রায় ৮০০ গবেষক রেজিস্ট্রেশন করেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, লাইফ সায়েন্স মানব জাতির অগ্রগতি ও কল্যাণে এক অনন্য ভূমিকা পালন করছে। জীবনের মূল রহস্য উদ্ঘাটন, স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে লাইফ সায়েন্সের অবদান অনস্বীকার্য। এ সম্মেলন শুধু জ্ঞান বিনিময়ের একটি মাধ্যম নয়- এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানব সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধ করার পথ উন্মোচিত হবে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি এবং নানা চ্যালেঞ্জ- যেমন রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশ বিপর্যয় এবং খাদ্য নিরাপত্তা এসব ক্ষেত্রে লাইফ সায়েন্স নতুন দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং সংক্রামক রোগের মতো বহু জটিল সমস্যার সমাধান ইতোমধ্যে বেরিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি এবং সেল থেরাপির মতো ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত।