আজ- শনিবার | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | রাত ১২:২১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১

ভূঞাপুরে আ’লীগ নেতা ফরিদকে খুনের আগে শপথ!

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-dir-19.doc
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রকিবুল ইসলাম ফরিদ হত্যা ঘটনায় তাঁর নিজ দলের একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি জড়িত! এছাড়া, খুনের পাঁচদিন আগে চূড়ান্ত পরিকল্পনায় খুনীরা শপথ করে। এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাঈনুল হাসান মাসুদ গত সোমবার(২৩ জানুয়ারি) বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক রুপন কুমার দাস মাসুদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দিতে মাসুদ জানায়, কিছু নেতার সঙ্গে মতবিরোধ এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড ঘটে। সে জানায়, পাঁচ দিন আগে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়। সেদিন খুনিরা শপথ করে যে, হত্যার পর পুলিশের কাছে কেউ গ্রেপ্তার হলে অন্যদের নাম প্রকাশ করবে না। এ সময় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও জনপ্রতিনিধির নামও তিনি বলেছেন।
আদালত ও তদন্ত সংস্থার একাধিক সূত্র জানায়, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। গোয়েন্দা পুলিশ গত রোববার(২২ জানুয়ারি) ভূঞাপুরের ভারই মধ্যপাড়া গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মাঈনুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত আ'লীগ নেতা ফরিদ
নিহত আ’লীগ নেতা ফরিদ

টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক কুমার সিংহ জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ ওই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরে সোমবার(২৩ জানুয়ারি) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রকাশ, গত ৬ ডিসেম্বর সকালে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ফরিদের গলাকাটা লাশ তাঁর নিজ বাড়ি ভারই গ্রামের মধ্যপাড়ায় একটি নির্জন পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। আগের দিন রাত সাড়ে নয়টার পর তিনি নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ওই দিনই ফরিদের ভাই ফজলুল করিম বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। পরে ফজলুল করিম বাদী হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে আরও একটি সম্পূরক মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক তাহেরুল ইসলাম তোতা, অপর যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য আবদুল হামিদ মিয়া ভোলা, অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সরকারসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়। আদালত থানায় ও আদালতে দায়ের করা মামলা দুটি একসঙ্গে তদন্তের আদেশ দেন। পরে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়