দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে স্ত্রী চলে যাওয়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার(৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী জাহিদুল ইসলাম(২২) ফাঁসিতে ঝুলে আত্নহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা নয়াপাড়া গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় উপজেলায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় তিন মাস আগে ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা নয়াপাড়া গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের নিকলা দড়িপাড়া গ্রামের আস্রাব আলীর মেয়ে কহিনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই কহিনুরের সঙ্গে কালিহাতী উপজেলার গিলাবাড়ী গ্রামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কহিনুরের অমতে পারিবারিকভাবে জাহিদের সাথে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পরও কহিনুর পুরনো প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। প্রায়ই মোবাইলে কথা বলতেন কহিনুর।
গত বৃহস্পতিবার(১ ডিসেম্বর) জাহিদুল স্ত্রী কহিনুরকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান। তিন দিন শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান শেষে সোমবার(৫ ডিসেম্বর) সকালে তারা নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে স্ত্রী কহিনুর স্বামী জাহিদুলকে ভূঞাপুর উপজেলা সদরে নিয়ে যেতে বলে। স্ত্রীর কথামত জাহিদুল ব্যাটারিচালিত অটো রিক্শাযোগে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। ভাড়া দেয়ার জন্য জাহিদুল ৫০০ টাকা বের করলে স্ত্রী কহিনুর ওই টাকা নিয়ে দৌঁড় দেয়। দৌঁড়ে অপেক্ষমান প্রেমিকের সিএনজি চালিত অটোরিক্শায় গিয়ে ওঠেন এবং অটোরিকশাটি টাঙ্গাইল শহরের দিকে চলে যায়। পরে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি চলে যায় জাহিদুল। বাড়ি গিয়ে লোকজনের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। স্থানীয় লোকজন নানা কথা বলতে থাকে। পরে স্ত্রীর পরকীয়া ও তার প্রেমিকের সাথে চলে যাওয়ার অপমান সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ঘরের ধর্ণার(আড়ার) সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে জাহিদুল। বাড়ির লোকজন জাহিদুলের ঘরে তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জাহিদুলের লাশ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামায়। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি উপজেলার ‘টক্ অব দ্যা টাউন’-এ পরিণত হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম কাওছার চৌধুরী বলেন, জাহিদ আত্নহত্যা করেছে। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপরে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।