দৃষ্টি নিউজ:
ভূঞাপুর-নিকরাইল সড়ক বন্যায় ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে সড়ক দিয়ে ভ্যান-অটোরিকশা চলাচল করার জন্য ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে সড়কটির ভাঙার কাজ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভূঞাপুর-নিকরাইল সড়কের কয়েড়ার বকচড়ায় সড়ক বন্যায় ভেঙে গিয়ে বেশ কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্তসহ শতাধিক পোল্ট্রি খামার তলিয়ে যায়। সে সময় নষ্ট হয়ে যায় কয়েক একর ফসল। উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সে সময় ভাঙা সড়কের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়ে ভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা পারাপার হচ্ছে। তবে ভারি যানবাহন সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে চালক ও সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা পণ্য আনা-নেয়ার জন্য প্রায় ১৭ কি.মি. রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।
কয়েড়ার বকচড়া গ্রামের বাহার প্রামানিক, ওমেদ আলীসহ স্থানীয় লোকজন জানান, বন্যায় আকস্মিকভাবে সড়কটি ভেঙে মানুষের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ও শতাধিক পোল্ট্রি খামার তলিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া সড়ক দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল। পরে সড়কের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করায় লোকজন ও ভ্যান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাতায়াত করলেও অন্য যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। মালামাল নিতে হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে।
গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, উপজেলা রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে ভাঙা সড়কটি মেরামতের জন্য বাজেট পাস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বরাদ্দ পেলেই সড়কটির সংস্কার করা হবে।