আজ- সোমবার | ২৪ মার্চ, ২০২৫
১০ চৈত্র, ১৪৩১ | সন্ধ্যা ৭:২৫
২৪ মার্চ, ২০২৫
১০ চৈত্র, ১৪৩১
২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০ চৈত্র, ১৪৩১

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪০তম ওফাত বার্ষিকী পালিত

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-3
আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম ওফাত বার্ষিকী বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করেছে। এছাড়া মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল, মরহুমের মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ, র‌্যালি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, কাঙালি ভোজ, বিশেষ মোনাজাত ইত্যাদি।
১৭ নভেম্বর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিন আগে থেকেই ভাসানীর ভক্ত ও মুরিদরা নানা দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে মাজার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে থাকে। বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই টাঙ্গাইলের সন্তোষে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগন এ নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। dristy-pic-2
সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এর পর ভাসানীর পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, আলেমা খাতুন ভাসানী হল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান হল, খোদা-ই-খেদমতগার, ভাসানী ফাউন্ডেশন, ভাসানী স্মৃতি পরিষদ, ন্যাপ ভাসানী, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতালীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মাজারে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
ভাসানীর ওফাত বার্ষিকী উপলে মাজার প্রাঙ্গণে ওরস শরীফ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওরসকে সামনে রেখে গত তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাসানীর ভক্ত ও মুরিদরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। অশ্রুসিক্ত নয়নে তারা প্রয়াত এ মহান নেতার আত্নার মাগফিরাত কামনা করেন।
এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯ টায় মাজার প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১ টায় মাজার প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিকাল তিন টায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম। dristy-pic-4
প্রকাশ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, কৃষক সমাবেশ, জমিদারদের নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ফারাক্কামুখী লং মার্চে নেতৃত্ব দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ওরফে চেগা মিয়া। বঙ্গবন্ধুও তাকে শ্রদ্ধা করতেন পিতার মতো।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৬ বছর বয়সে দেশ বরেণ্য এই নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খান। তিনি আমৃত্যু কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়