দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় অব্যস্থাপনার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী (পিএসসি’র) খাতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পঞ্চম শ্রেণির গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষার খাতা এক কক্ষে কয়েক শতাধিক শিক্ষক গাদাগাদি করে বসে মূল্যায়ন করায় মেধাবীদের সঠিকভাবে মেধা যাচাই হচ্ছে না বলে শিক্ষক ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে প্রতি বিষয়ে ৩১ জন করে মোট ১৮৬ জন পরীক্ষক, প্রতি বিষয়ে ১২ জন করে মোট ৭২ জন নিরীক্ষক, প্রতি বিষয়ে দুজন করে ১২ প্রধান পরীক্ষক এবং প্রতি বিষয়ে একজন করে সহকারী শিক্ষা অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ করা পরীক্ষকরা একটি কক্ষে গাদাগাদি করে বসে অব্যবস্থাপনার মধ্যে খাতা মূল্যায়ন করছেন। তড়িঘড়ি ও দ্রুত খাতা দেখায় ভালো শিক্ষার্থীর খাতা ও নম্বর দেওয়া সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, খাতা মূল্যায়নের জন্য যে গোপনীয়তা ও সময় দেওয়া প্রয়োজন মির্জাপুরে তা মানা হচ্ছে না। শিক্ষকদের বিদ্যালয় ও বাড়ি থেকে জোর করে ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে অব্যবস্থাপনার মধ্যে পিএসসির খাতা দেখানো হচ্ছে।
মির্জাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শিক্ষা উন্নয়ন কমিটির সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে সভা করে এভাবে খাতা মূল্যায়ন হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, গোপনীয়তা ও স্বচ্ছতার জন্য টাঙ্গাইলের প্রতিটি উপজেলায় এভাবে পিএসসির খাতা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।