আজ- শুক্রবার | ২৩ মে, ২০২৫
৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ | রাত ১০:৪৮
২৩ মে, ২০২৫
৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

মির্জাপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ

দৃষ্টি নিউজ:

এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনির

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।

তিনি নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় একটি চেক ডিসঅনার মামলায় তার ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকার জরিমানার বিষয়টি গোপন করেছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাছে এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।


জানা যায়, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনির তার হলফনামায় ছয়টি মামলা চলমান থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে তিনটি চেক ডিসঅনার মামলা। এ সকল মামলা টাঙ্গাইলের আদালতে চলমান রয়েছে। তবে ঢাকায় দায়ের করা অপর একটি চেক ডিসঅনার মামলায় এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালতের বিচারক।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ এস এম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে ওই আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তীতে গত ২২ এপ্রিল ঢাকার যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ ৩য় আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

কিন্তু প্রার্থীর জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি এই কারাদণ্ডের বিষয়ে কোন কিছুই উল্লেখ করেননি। মির্জাপুরে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে টনক নড়ে এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরের। প্রার্থীতা টিকিয়ে রাখতে তিনি কৌশলে গত ২৭ মে ওই আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন।


এদিকে জামিনের কাগজে ঢাকার যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারকের দেওয়া সাক্ষর এবং কারাদণ্ডের আদেশপত্রে দেওয়া সাক্ষরে মিল না থাকায় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।


স্থানীয় বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, প্রার্থী জমা দেওয়া হলফনামায় যে কয়টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন তার বেশির ভাগই প্রতারণা সংক্রান্ত মামলা। তাই এই জামিনের বিষয়টিও প্রতারণামূলক হওয়া বিচিত্র নয়। বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।


চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনির জানান, ঢাকার মামলাটি সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। এ কারণে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি। তবে আদালতে হাজির হয়ে তিনি ওই মামলায় জামিন নিয়েছেন। সেই জামিনের কপি মির্জাপুর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।


চেয়ারম্যান পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাছে বিষয়টি নিয়ে এসএম মুজাহিদুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।


টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ূর রহমান জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে বলেন।


এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ কথা বলেন নাই বা অভিযোগ করেন নাই।

২৯ মে ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত লিখিত অভিযোগ করেছেন। এখন প্রতীক বরাদ্দ হয়ে গেছে। এ নিয়ে এখন কিছুই করার নেই। তবে আদালতে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়