আজ- বুধবার | ২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১ | বিকাল ৫:৩৫
২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১
২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

মির্জাপুরে শ্বাশুড়িকে খুন করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখে পুত্রবধূ ও তার দুই ভাই

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-d-18
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিধবা রহিমা বেগম খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুত্রবধূর বড় ভাই রোকন(২০)। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার বর্ণনা দেন। রোকন বাসাইল উপজেলার তিরঞ্চ গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
জবানবন্দি সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে বিধবা রহিমা বেগমের ছেলে ওয়াসিমের সঙ্গে রোকনের বোন কোকিলার বিয়ে হয়। শ্বাশুড়ি রহিমা বেগম বিয়ের পর থেকেই কোকিলার ওপর নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কোকিলা তার শ্বাশুড়ি রহিমা বেগমে খুন করার পরিকল্পনা করে। গত ১২ জানুয়ারি বাড়িতে অন্যরা না থাকার সুযোগে কোকিলা মোবাইল ফোনে তার ভাই রোকনকে শ্বশুরবাড়িতে আসতে বলেন। রোকন তার বড় ভাই রোজবেলকে নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বোনের বাড়িতে যান। রাত ১১টার দিকে দুই ভাই ও বোন মিলে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাশুড়ি রহিমা বেগমকে শ্বাসরোধে খুন করেন। পরে লাশ বাড়ির পায়খানার সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখে।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জাপুর থানা পুলিশ শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রোকনকে কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার(১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রোকনকে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার এসআই মনিরুজ্জামান মুন্সী জানান, এই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি বাজার থেকে পুলিশ রোকনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। মামলার অন্য দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওই এসআই।
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের সাটিয়াচড়া গ্রামের লিয়াকত আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম নিজ বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১১ দিন পর ২৩ জানুয়ারি রহিমা বেগমের অর্ধগলিত লাশ বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়