আজ- বুধবার | ২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১ | সন্ধ্যা ৬:০৫
২৬ মার্চ, ২০২৫
১২ চৈত্র, ১৪৩১
২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

মির্জাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন আজ

দৃষ্টি নিউজ:

14691141_864731216997218_8496734817614590666_nটাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন দীর্ঘ সাত বছর পর আজ শনিবার(৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ সময় পর সম্মেলন হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে।
সম্মেলনে পৌর বিএনপির সভাপতি পদে একক প্রার্থী থাকলেও উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে কোনো প্রার্থী নেই। এ ছাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও পৌর বিএনপির পুরোনো কমিটিই নতুন রূপে আসতে পারে বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর সম্মেলন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা জানান, দেশের সংকটময় পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন হয়নি। কয়েকবার চেষ্টা করেও সম্মেলন পিছাতে হয়েছে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে তারিকুল ইসলাম ও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরুজ হায়দার খান সমান ভোট পান। পরে তারিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর জের ধরে বিএনপিতে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ফিরুজ হায়দার আলাদাভাবে দলীয় কাজ করতে থাকেন।
২০০৯ সালের ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে একেএম আজাদ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হন। ওই সম্মেলনে তারিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সভাপতি হন স্থানীয় সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। সম্মেলনের পর কমিটিতে আজাদকে সহসভাপতি করা হলেও তাঁর সঙ্গে সাবেক সাংসদের বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে। এছাড়া ওই সম্মেলনে মো. হযরত আলী মিঞা সভাপতি ও জুলহাস মিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
এবারের সম্মেলনেও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরুজ হায়দার খান প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মেলন হতে হবে। চাপিয়ে দেওয়ার মতো কোনো কমিটি কেউই মানবেন না। কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে যদি আগের জন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, তবে তা মেনে নেব।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. কুব্বত আলী মিয়া জানান, কাউন্সিলরদের সঠিক ভোট হলে তিনি বিজয়ী হবেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির দুজন নেতা জানান, প্রতিটি পদে একজন প্রার্থী করার জন্য দলীয় কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। এতে পৌর বিএনপির কমিটিতে আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে সাবেক সাংসদকেই সবার পছন্দ। সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে সুরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী জানান, তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক। এ কারণেই প্রার্থী হননি। দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে যে পদে দেখতে চান তিনি সেখানেই থাকবেন।
এদিকে সাত বছর পর বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। শেষ পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থল মির্জাপুর উপজেলা সদরের বংশাই জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে মঞ্চ বানানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়