আজ- রবিবার | ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১ | রাত ৩:৪৭
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫
১২ মাঘ, ১৪৩১
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২ মাঘ, ১৪৩১

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

দৃষ্টি নিউজ:

dristy-pic-fo-61আজ বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্নহুতি দিয়েছিলেন নূর হোসেন। এদিন হাজারও প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে রাজপথে নেমে এসেছিলেন এই যুবলীগ কর্মী। বুকে-পিঠে লেখা ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান তৎকালীন স্বৈরশাসকের সহ্য হয়নি। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। নূর হোসেনের আত্নত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য রূপ লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারের পতন ঘটে।
মূলত এই আন্দোলনের জোয়ারেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠেন শহীদ নূর হোসেন। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যোগ হয় আরেকটি অধ্যায়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর নূর হোসেন তার বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দলীয় ঐক্যজোটের মিছিলে যোগ দেন। সেদিন ১৫ দল, ৭ দল এবং ৫ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে। স্বৈরশাসকের সব বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল। তবে সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পল্টন হয়ে উঠে রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। মূলত নূর হোসেনসহ অগণিত মানুষের ওই ত্যাগের পথ বেয়েই অবশেষে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়। গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ‘৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেয়।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনা সভা, সেমিনার প্রভৃতি।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়