দৃষ্টি নিউজ:
আজ ৪৫তম সংবিধান দিবস। ১৯৭২ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। একই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস থেকে সংবিধান কার্যকর হয়। সংবিধান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন।
তবে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এই সংবিধান বিভিন্ন সময়ে হয়েছে ক্ষত-বিক্ষত। সামরিক শাসনের অধীনে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী এরই মধ্যে আদালতের রায়ে বাতিল হয়ে গেছে। এ ছাড়া চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে অষ্টম ও পঞ্চদশ সংশোধনী। সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য বেগম রাজিয়া বানু। সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সংবিধান রচনা কমিটি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করে। সংবিধান লেখার সময় খসড়া পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার ভার দেয়া হয়। তৎকালীন গণপরিষদ ভবন যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইনপ্রণেতা আই গাথরি। মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং পরে একে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। তাই এটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান। তবে ইংরেজি ও বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রূপ অনুসরণীয়।