টাঙ্গাইলের সখিপুরে বোরো ধান কাটার এক উৎসব শুরু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার কৃষক ও শ্রমজীবিরা ধানকাটা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মওসুমের শুরুতে বিদ্যুতের দুঃসহ লোডশেডিং, ধানের রোগ বালাইসহ নানা প্রতিকূলতার পরও ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। তবে বাড়তি ফলনেও খুশি হতে পারছেনা সাধারণ কৃষক। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় তাদের মাথায় হাত পড়েছে। লাভতো দূরের কথা উৎপাদন খরচ উঠাতে পারবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষক ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সখিপুরে ১৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৮৪০ মে.টন চাল। কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের মতো এবারও ছাড়িয়ে যাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকার চলতি বছরে বোরো মৌসুমে ২২ টাকা কেজি ধান ও ৩২ টাকা দরে চাল বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন।
উপজেলার বোয়ালী, নলুয়া ও যাদবপুর গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ বেশি আর ধানের বিক্রিমূল্য কম থাকায় তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
বোয়ালী গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন জানান, ১০ জন শ্রমিক প্রতিদিন তার জমিতে ধান কাটছে। তাদের পারিশ্রমিক প্রতিজনের ৬০০ টাকা করে। আর সেই ধান তিনি ৫৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করছেন।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়ে ভালোয় ভালোয় মাঠের ফসল ঘরে উঠবে আর বাজারে বাড়বে ধানের দাম এমন প্রত্যাশায় আছেন কৃষকরা।