আজ- সোমবার | ২৪ মার্চ, ২০২৫
১০ চৈত্র, ১৪৩১ | সন্ধ্যা ৭:২৪
২৪ মার্চ, ২০২৫
১০ চৈত্র, ১৪৩১
২৪ মার্চ, ২০২৫, ১০ চৈত্র, ১৪৩১

সখীপুরে একটি সেতুর অভাবে ৪০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

image_1541_236214

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা, বহুরিয়া ও যাদবপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের গোহালীয়া নদীর ওপর সেতু না থাকায় ৪০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও বাস্তবায়ন হয়নি। একপর্যায়ে গ্রামবাসী বাঁশ ও কাঠ দিয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে। তারপর থেকে এসব গ্রামবাসী ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে।
সখীপুর শহর থেকে প্রায় ৩০ কি.মি. পূর্ব-দক্ষিণে হাতীবান্ধা, বহুরিয়া ও যাদবপুর ইউনিয়নের বুক চিরে গোহালীয়া নদী বয়ে গেছে। যাদবপুর ও হাতীবান্ধা ইউনিয়নের কাজিপাড়া, বাজাইল, রামখালী, মওলানা পাড়া, ভারাবর, উঁচুচালা, রাঙ্গামাটি, হতেয়া, নাগের চালা, সিন্দুরিয়া, ছলংগা, কালমেঘা, কদ্দিপাড়া, রাজাবাড়ি, উইল্যাচালা, কেরানীপাড়া, গোবরাচালা, হলুদিয়া চালা, ভাতকুড়া চালা, বাইটকা পাড়া, জিনিয়া চালা, বড় চালা, ইন্নত খাঁ চালাসহ ৪০টি গ্রামের মানুষ নদী পারাপার হয়ে চলাচল করে। স্বাধীনতার পর থেকে এসব গ্রামের মানুষজন নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এসেছিল। কোনো সরকারই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। পরে উপজেলা পরিষদের সহযোগিতা ও এলাকাবাসী চাঁদা তুলে নদীর ওপর বাঁশ ও কাঠের খুঁটি দিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে। প্রতিদিন ৩ ইউনিয়নের লোকজন সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যানে উপজেলা, জেলা শহর ও রাজধানীতে যাতায়াত করছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। ভারী যানবাহনগুলোকে প্রায় ১৫ কি.মি ঘুরে চলাচল করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর হাট-বাজার ও অফিস-আদালতের কাজে যাতায়াত করতে হয়।
গোবরাচালা গ্রামের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। সাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় খুব কষ্ট হয়। হাতীবান্ধার স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেন দুলাল জানান, প্রতি বছরই গ্রামবাসী চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে গোহালীয়া নদীর সাঁকোটি মেরামত করে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকেই গোহালীয়া নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানিয়ে এলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে তিন ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে। কাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল আলম জানান, নদীতে সেতু না থাকায় এলাকার রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে সখীপুর হাসাপাতালে যেতে হয়। হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক সজল জানান, গোহালীয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হলে চলাচলে এলাকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।
হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, বিভিন্ন সময়ে এলাকার সংসদ সদস্যদের কাছে সেতু নির্মাণের আবেদন করা হলেও কেউ বাস্তবায়ন করেননি। বর্তমান চেয়ারম্যান নবীন হোসেন জানান, এত বড় সেতু নির্মাণে অনেক টাকার দরকার। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল না থাকায় কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সখীপুর উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) কাজী ফাহাদ জানান, গোহালীয়া নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়