দৃষ্টি নিউজ:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার নলুয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মঙ্গলবার(২২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে যৌতুকের দাবি মিটাতে না পারায় মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়িকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠেছে। নিহত শ্বাশুড়ি জহুরা বেগম বাসাইল উপজেলার বাংড়া জোরবাড়ি গ্রামের মেহের আলীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, বাসাইল উপজেলার বাংড়া জোরবাড়ি গ্রামের মেহের আলীর মেয়ে মরিয়ম আক্তারের সাথে গত ৮মাস আগে সখীপুর উপজেলার নলুয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হাসান সজীব রাজিবের বিয়ে হয়। কথা ছিল বিয়ের সময় তিন ভরি স্বর্ণ দেয়ার। কিন্তু বিয়ের সময় দুই ভরি স্বর্ণ দেয়া হয়। এরপর থেকেই বাকি এক ভরি স্বর্ণ দাবি করে আসছিল বর পক্ষ। এছাড়াও সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও বিদেশ যাওয়ার জন্য তিন দফা দুই লাখ টাকা দাবি করে রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় বিয়ের পরই মরিয়মকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বার বার মরিয়মকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি যায় বাবা মেহের আলী। কিন্তু যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় প্রতিবারই তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
সর্বশেষ মঙ্গলবার(২২ নভেম্বর) বিকালে মরিয়মের বাবা মেহের আলী ও মা জহুরা বেগম মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে সাথে নিয়ে জামাই রাজিবদের বাড়িতে যান। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাজিব ও তার পরিবারের লোকজন মেহের আলী ও তার স্ত্রী এবং মেয়ের উপর চড়াও হয়। এলোপাতারি পিটিয়ে রাজিবরা শ্বাশুড়ি জহুরা বেগমকে গুরুতর আহত করেন। পরে জহুরা বেগমকে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।