দৃষ্টি নিউজ:
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সরকারি নীতিমালার বাইরেও প্রতিটি পত্রিকা অফিসের নিজস্ব নীতিমালা থাকতে হবে। প্রতিটি পত্রিকা অফিসে সাংবাদিকদের কোন নীতি মেনে চাকরিতে যোগদান করানো হচ্ছে, কোন স্কেলে বেতন দেয়া হচ্ছে, কোন ক্ষমতাবলে ও কি কারণে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট ও স্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে।’
রোববার(৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন গণমাধ্যম চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর উচিত কোন কোন অফিস ওইসব নীতিমালা অনুসরণ করছে, তা দেখভাল করা। প্রতিবছর সেটা দেখভাল করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে রিপোর্ট করা। এসব নিয়ম পালন ছাড়া দেশে টেকসই উন্নয়ন হবে না।’ গণমাধ্যমে নারীর কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেয়ার পর অনেক কাজ করেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের বিষয়ে অনেক কাজ করেছি। ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। সেখানে প্রচুর মেয়েরা লেখাপড়া করছে। আবার চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ইনস্টিটিউট হয়েছে, দু’বছর ধরে সনদ দিচ্ছে। আমি সেখানে নির্দেশও দিয়েছি ছাত্রছাত্রী ভর্তির বিষয়ে যেন সমতা থাকে। সরকারিভাবেও নারী-পুরুষ সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরির আইনের বিষয়ে ইনু বলেন, ‘গণমাধ্যমে যেন এক তৃতীয়াংশ নারী কাজের সুযোগ পায়, সে বিষয়ে অনেক আগে থেকেই আমরা বলে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অফিসই সেটা মানছে না। আবার নারীর প্রতি সহিংসতা রোধেও একটি কমিটি থাকার কথা এবং প্রতিটি অফিসে শিশুযত্নকেন্দ্র করার কথা থাকলেও সেটা কেউ করছেন না বলেই আমরা জানি। ফলে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্র নিয়ে আইন থাকলেও সেটা যদি কেউ বাস্তবায়ন না করে, তাহলে কোনো ফলই আসবে না, নারী কাজ করতেও আসবে না।’ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘নারী-পুরুষ সাংবাদিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে হবে।