আজ- মঙ্গলবার | ৫ নভেম্বর, ২০২৪
২০ কার্তিক, ১৪৩১ | রাত ৪:১৯
৫ নভেম্বর, ২০২৪
২০ কার্তিক, ১৪৩১
৫ নভেম্বর, ২০২৪, ২০ কার্তিক, ১৪৩১

১২ জেলা পরিষদে একক চেয়ারম্যান প্রার্থী

দৃষ্টি নিউজ:

district-parisad-election20161120143206
দেশের ৬১টির মধ্যে ১২টি জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। বিএনপি, জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ্যেও ৪৯টি জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
দেশের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার(০১িডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্যে এই চিত্র পাওয়া যায়।
ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ১২টি জেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী।
ইসির উপসচিব ফরহাদ আহম্মেদ খান জানান, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, ভোলা, নেত্রকোনা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে একজনই প্রার্থী। অর্থাৎ এই ১২ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তারা হচ্ছেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায় ও মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর।
জেলা পরিষদে ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
এই নির্বাচনে সরাসরি ভোট হবে না। জেলাগুলোতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে নিজ নিজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য (সাধারণ ও সংরক্ষিত) নির্বাচন করবেন।
চেয়ারম্যান পদে মোট ১৯০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে বলে জানান, ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান।
সদস্য পদে তিন হাজার ৫৬১টি এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পদের জন্য ৮৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
অর্থাৎ বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা দলের নেতা কিংবা জোট শরিক দলের নেতাদের মুখোমুখি হচ্ছেন ভোটের লড়াইয়ে।
এই ভোটকে ‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
বিএনপি জেলা পরিষদ আইন নিয়েই আপত্তি জানিয়েছে। সরাসরি ভোট না হওয়ায় এই নির্বাচনে নেই তারা।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়