আবারও পেছানো হলো আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন। এবার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোম ও মঙ্গলবার। আজ শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার একটি বিশ্বস্থ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়াও এ সভায় দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে সূত্রটি। অবশ্য এর আগেও আরও ২ দফায় পেছানো হয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের এ তারিখ।
প্রসঙ্গত আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। সে অনুযায়ী গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর ৩ মাস বাড়িয়ে গত ৯ জানুয়ারি দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকে কাউন্সিলের জন্য ২৮ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র কর সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে ১০ ও ১১ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের প্রথম তারিখ নির্ধারণ করেছিল গত ২৮ ও ২৯ মার্চ। তার পর দেশব্যাপী উইনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের কারণে সম্মেলন সাড়ে ৩ মাস পিছিয়ে ১০ ও ১১ জুলাই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। গত ২০ মার্চ রবিবার গণভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রারম্ভিক বক্তব্যে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়ে দেন, ২৮ মার্চ সম্মেলন হচ্ছে না। বৈঠকে আলোচনা করে নতুন তারিখ ঠিক করা হয় ১০ ও ১১ জুলাই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জাতীয় সম্মেলন পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, একই সাথে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ৬মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে একবার কমিটির মেয়াদ ৬ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছিল। চলতি জুন মাসেই কমিটির বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের কারণে আগে তারিখ পেছানো হলেও এবার সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও বর্ষাকাল। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, এ সময় সম্মেলন হলে আকর্ষণ হারাবে বলে মনে করছেন দলের নেতারা। আর অক্টোবরে নতুন তারিখ ঠিক করার পেছনে দুটি বিষয় কাজ করেছে। প্রথমত শোকের মাস আগস্টে আওয়ামী লীগ শোকের কর্মসূচির বাইরে কিছু করবে না। আর সেপ্টেম্বর মাসে ঈদুল আজহা এবং পূজাও রয়েছে। এ জন্যই অক্টোবর মাসকে বেছে নেয়া হয়েছে বলে আওয়ীমী লীগের শীর্ষ নেতাদের দাবি।