দৃষ্টি নিউজ:

টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌরসভার একটি নতুন রাস্তা বের করাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, এলেঙ্গাস্থ পুরাতন ভূঞাপুর রাস্তা থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়ক পর্যন্ত ১০ফুট চওড়া রাস্তা বের করার জন্য এলেঙ্গা পৌরসভা উদ্যোগ গ্রহন করে। কিন্তু ওই নতুন রাস্তা করতে স্থানীয় আব্দুল আলীর ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিকী, মৃত আকবর খানের ছেলে মো. ইয়াছিন আলী খান ও কালিপদ বিশ্বাসের ছেলে অরুণ বিশ্বাসের বসত বাড়ির কিয়দাংশ ভেঙে জায়গা ছেড়ে দেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ লক্ষে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নুর-এ-আলম সিদ্দিকী উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে ১০ফুট প্রস্থের নতুন রাস্তার জন্য বসত বাড়ির জায়গা ছেড়ে দিতে গত ২৭ আগস্ট নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশ পেয়ে মো. আবু বকর সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের(কালিহাতী থানা) বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২ সেপ্টেম্বর এলেঙ্গা পৌর মেয়রকে ‘কেন অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হবেনা’ মর্মে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর সাধারণ নোটিশ দিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবারই(৪ সেপ্টেম্বর) ওই নতুন রাস্তা বের করার জন্য বসত বাড়ি ভেঙে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। বাড়ির বাউন্ডারী ওয়াল, স্থাপনা ও গাছ অপসারণের উদ্যোগ নেয়ায় মো. আবু বকর সিদ্দিকী গংরাও প্রতিহত করার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মকান্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, তার নামজারি ও খাজনা দেয়া বাড়ির বাউন্ডারী ওয়াল ও গাছপালা অপসারণ করে পৌর মেয়র জোর করে রাস্তা বের করতে চাচ্ছেন। আদালতের নোটিশ পেয়ে তিনি আরো ক্ষুব্ধ হয়ে দ্রæত জবরদস্তি রাস্তা বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা পৌর সভার প্যানেল মেয়র সুকুমার ঘোষ জানান, শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয় এমন কিছুই তারা করবেন না, তারা শান্তির পক্ষে। এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে রাস্তা না থাকায় ১৬৫টি পরিবার যাতায়াত করতে পারছেনা। তাই নতুন রাস্তা বের করার জন্য তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।