আজ- বৃহস্পতিবার | ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২ | দুপুর ১:১৭
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
৩ আশ্বিন, ১৪৩২
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩ আশ্বিন, ১৪৩২

খাজনা-খারিজ থাকলেও জমি বিক্রিতে চক্রের হুমকি!

সখীপুর প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলে খাজনা-খারিজ সহ সকল কাগজপত্র ও দখল থাকলেও জমি বিক্রি করতে মালিককে বাঁধা দিচ্ছে একটি চক্র। সখীপুর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া ঘোনার চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান ওরফে ঘুঘুর মাহমুদের ছেলে আবুল কাশেম টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

জানাগেছে, কালিয়াপাড়া ঘোনার চালা গ্রামের আবুল কাশেম ওই মৌজার জেএল নং ২৮৬, বিএস খতিয়ান নং ২৩, ১০২৭, ১০২৬, ৫৫০, ২৯৭৬ এর বিএস দাগ নং ৬১৬৬, ৬৩৩১, ৬১৯২, ৬৩২৫, ৬১৬১ ও ৬১৬৫ মোট ৬টি আলাদা দাগে ২৪০ শতাংশ জমির মালিক। জমির মালিক হিসেবে তিনি যথারীতি নামখারিজ করে হাল সনের পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছেন। টাকার প্রয়োজন হওয়ায় তিনি ওই জমি বিক্রি করার মনস্থ করেন। পরে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে বায়নাপত্র করেন। কিন্তু আগের বর্গাদার লিয়াকত মাস্টার ও মোজাম্মেল মেলেটারী জমির ক্রেতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি বিক্রিতে বাঁধার সৃষ্টি করছে।

 

 

 

 

 

 

 

এক পর্যায়ে বর্গাদার লিয়াকত মাস্টার ও মোজাম্মেল মেলেটারী উচ্ছৃঙ্খল-লোভী রাব্বানী, হাছেন আলীগং সহ সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ে আবুল কাশেমের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় স্থানীয় মাতব্বররা উদ্ভুত বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়পক্ষকে নিয়ে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে। সালিশে আবুল কাশেম উপস্থিত হলেও লিয়াকত মাস্টাররা উপস্থিত হয়নি। তারপরও তারা ক্রেতাকে জমি কিনতে নিষেধ করে এবং বিক্রেতা আবুল কাশেমের কাছে টাকা দাবি করে। বাধ্য হয়ে আবুল কাশেম প্রতিকার চেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এ বিষয়ে লিয়াকত মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা ওই জমির কিয়দংশের বর্গাদার ছিলেন। জমি বিক্রি করতে চাইলে তাদের কাছেই বিক্রি করতে হবে- অন্য কারো কাছে নয়।

 

 

 

 

 

 

জমির মালিক আবুল কাশেম জানান, লিয়াকত মাস্টারগংরা তার কাছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দাবি করেছে- নাহলে জমি বিক্রি করতে দেবেনা। তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্র তৈরি করে ‘মব সন্ত্রাস’ করার ভয় দেখিয়ে জমির ক্রেতাকে হয়রানী করছে এবং তাকে জমি বিক্রিতে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়