আজ- মঙ্গলবার | ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | বিকাল ৩:৪১
১৮ নভেম্বর, ২০২৫
৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

গোপালপুরে সমাপনীর প্রশ্নপত্র বাইরে! পরীক্ষা দিচ্ছেন অভিভাবকরা!

দৃষ্টি নিউজ:


প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট পরই কেন্দ্রের আশপাশে দলে দলে ভাগ হয়ে কিছু একটা করার ঝটলা চোখে পড়ে। কৌতুহল বশত একটু এগিয়ে গিয়েই দেখা গেল, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখে সাদা কাগজে উত্তর লিখছে অভিভাবকরা। এ যেন ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের নয় অভিভাবকদের পরীক্ষা চলছে। অবাক করা বিষয় হলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নারুচী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
সরেজমিনে রোববার(২৬ নভেম্বর) প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট’র(পিএসসি) শেষ বিষয় ‘গণিত’ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
এসময় প্রশ্নপত্র কিভাবে বাইরে এলো জানতে চাইলে অভিভাবকরা বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতর থেকে প্রশ্নটি মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তুলে স্থানীয় কোচিং সেন্টারের পরিচালকরা সরবরাহ করছে। আর সেই প্রশ্ন দেখে সাদা কাগজে উত্তর লেখার পর দায়িত্বরত শিক্ষকদের ম্যানেজ করে শিক্ষার্থীদের কাছ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের দেওয়া নকল দেখেই পরীক্ষার মূল উত্তরপত্রে লিখছে শিক্ষার্থীরা। ওই কেন্দ্রে চারটি কোচিং সেন্টারের ৪৮জন শিক্ষার্থীরা ছাড়াও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীর ৩৯৭জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে।
শুধু ওই কেন্দ্র্রেই নয় উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্রে পরীক্ষার নামে চলছে নকলের মহোৎসব। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন ঘটনা ঘটলেও ‘দেখার কেউ নেই’। এ নিয়ে চরম শঙ্কা তৈরি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে।
উত্তরপত্র লেখার সময় স্থানীয় ব্রাইটার কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ব্রাইটারের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। সুতরাং দায়িত্বের মধ্যেই এই কাজগুলো করতে হচ্ছে। সবাই করছে তাই আমাদের ছেলে-মেয়ের জন্য একটু সহযোগিতা করছি।
তিনি আরো জানান, দায়িত্বরতদের ম্যানেজ করেই মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে আনতে হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নারুচী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব সাইদুজ্জামান জানান, কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা হচ্ছে। নির্ধারিত সীমানার বাইরে কী হচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব তার নয়।
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, বিচ্ছিন্ন এলাকা হওয়ায় এই কেন্দ্রে দায়িত্বপালন করা কষ্টের। তবে নকলের কোন সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র বাইরে যাওয়ার কোন খবর তার জানা নেই।
প্রশ্নপত্র বাইরে ও নকলের মহোৎসবের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা শারমীন প্রশ্ন এড়িয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সাংবাদিকরা কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েছে তাও জানতে চান।

শেয়ার করুন স্যোশাল মিডিয়াতে

Facebook
Twitter
LinkedIn
X
Print
WhatsApp
Telegram
Skype

সর্বশেষ খবর

এই সম্পর্কিত আরও খবর পড়